অন্তর্দ্বন্দ্বের গুঞ্জনে ক্লার্কের ক্ষোভ
সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না মাইকেল ক্লার্কের। ব্যাট হাতে ক্রমাগত ব্যর্থতা আর অ্যাশেজে দলের নাস্তানাবুদ হওয়ার যন্ত্রণায় এমনিতেই তিনি জর্জরিত। ব্যর্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে চলতি অ্যাশেজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্বের গুঞ্জন! সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর দেখে ভীষণ ক্ষুব্ধ ক্লার্ক। তাঁর মতে, এ ধরনের গুঞ্জন ‘পুরোপুরি আবর্জনা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত শনিবার শেষ হওয়া ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে চূড়ান্ত অপদস্থ হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬০ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়া ক্লার্কের দল তৃতীয় দিন প্রথম পানিপানের বিরতির আগেই হেরে গেছে। হারের ব্যবধান স্বাভাবিকভাবেই বিশাল—এক ইনিংস ও ৭৮ রান। এভাবে বিধ্বস্ত হলে কারই বা মাথা ঠিক থাকে! এর সঙ্গে দলীয় কোন্দলের খবর যোগ হওয়ায় ক্লার্ক একেবারে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আমি অস্ট্রেলিয়ার যত দলের হয়ে খেলেছি, বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই দলগুলোর মতোই সদ্ভাব আছে।’
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের স্ত্রীদের মধ্যে বহুদিন ধরে চলা বিবাদের কারণে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে দলের বাকি সব খেলোয়াড়ের। তার ওপর ক্লার্ক সতীর্থদের সঙ্গে টিম বাসে উঠতেও আপত্তি জানান বলে দাবি পত্রিকাটির। সহ-অধিনায়ক ব্র্যাড হ্যাডিনকে পারিবারিক কারণে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে সিডনি থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় পত্রিকাটি।
তবে ক্লার্কের কাছে এসব দাবি ‘আবর্জনা’ ছাড়া আর কিছুই নয়, ‘আমার ভিন্ন গাড়িতে চলাফেরার কথা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আর কোনো সফরে স্ত্রী বা বান্ধবী সঙ্গে থাকলে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে কেন? এটা পুরোপুরি আবর্জনা।’
ট্রেন্ট ব্রিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অ্যাশেজ জয় নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। ২০ আগস্ট থেকে ওভালে শুরু হবে পঞ্চম ও শেষ টেস্ট। এটাই হতে যাচ্ছে ক্লার্কের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।