ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য জয়!
ক্রিকেটকে যে কেন মহা অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়, তা খুব ভালোমতোই টের পাওয়া গেল ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে। প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
৩৬৭ রান সংগ্রহ করে ভারতকে বেঁধে দিয়েছিল ১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা। সহজ এই লক্ষ্যটাও যে ভারতের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তা হয়তো ভাবতে পারেননি শ্রীলঙ্কার সমর্থকরাও। কিন্তু বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখিয়ে দলকে অবিশ্বাস্যভাবে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন রঙ্গনা হেরাথ। সাত উইকেট নিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছেন মাত্র ১১২ রানে। শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ৬৩ রানের অবিস্মরণীয় জয়। সিরিজেও এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
এক উইকেটে ২৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান যেভাবে শতক হাঁকিয়েছিলেন, তাতে ভারতের জয়টা মনে হচ্ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। কিন্তু মধ্যাহ্নবিরতির সময়ই ম্যাচের লাগাম চলে আসে লঙ্কানদের হাতে। ৭৮ রান সংগ্রহ করতেই ভারত হারায় সাতটি উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে একে একে ফিরে যান ইশান্ত শর্মা, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, ঋদ্ধিমান সাহা ও হরভজন সিং।
মধ্যাহ্নবিরতির পর হেরাথ তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অজিঙ্কা রাহানের উইকেট। অমিত মিশ্রকে আউট করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন থারিন্ডু কুশাল। নবম উইকেটে রাহানে ও মিশ্রর ২১ রানের জুটিটিই ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ভারতের পক্ষে একমাত্র প্রতিরোধ এসেছে রাহানের ব্যাট থেকে। ৭৬ বলে ৩৬ রানের ছোট্ট ইনিংসটিই ভারতকে বাঁচিয়েছে বড়সড় লজ্জার হাত থেকে। প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সাতটি উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার জয়ের অন্যতম নায়ক হেরাথ। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা কিন্তু তাঁর হাতে ওঠেনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২২১ রান করায় সেটি পেয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল। প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি খেলেছিলেন ১৬৯ বলে ১৬২ রানের দুর্দান্ত এক লড়াকু ইনিংস। অপরাজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত।
২০ আগস্ট থেকে কলম্বোতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এটিই হবে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারার বিদায়ী ম্যাচ।