সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া আল আমিন
গত ফেব্রুয়ারিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিশ্বকাপের মাঝপথ থেকে থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আল আমিন হোসেন। জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছেন না কিছুতেই। অবশেষে এই পেসারের সামনে দারুণ এক সুযোগ। আগামী শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন আল আমিন। ফিটনেস আর পারফরম্যান্স দিয়ে নির্বাচকদের মন জয় করতে পারলে দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল।
আল আমিনেরও তেমনই লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, “বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো ক্যাম্পে সুযোগ পেলাম। সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ‘এ’ দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে। যে দলেই সুযোগ পাই না কেন, চেষ্টা করব নিজেকে মেলে ধরার।”
আপাতত আল আমিনের লক্ষ্য ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়া, ‘বিশ্বকাপের পর অনেক দিন বিশ্রামে ছিলাম। ভালোভাবে ফিটনেস ট্রেনিং করা হয়নি। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্পে আমার লক্ষ্য থাকবে নিজের ফিটনেসকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। তাহলে মূল দলে সুযোগ পেলে ভালো করতে পারব।’
তাহলে কি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার আশা করছেন? এমন প্রশ্নে এই ডানহাতি পেসারের কণ্ঠ যথেষ্ট সাবধানী, ‘বাংলাদেশ দল এখন দারুণ খেলছে। এখন দলে সুযোগ পেলে তা আমার ক্যারিয়ারের জন্য প্লাস পয়েন্টই হবে। জানি না সুযোগ পাব কি না। তবে চেষ্টা তো থাকবেই।’
ছয়টি টেস্ট ও ১১টি ওয়ানডে খেলা আল আমিনকে বিশ্বকাপ চলার সময় টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের অনুমতি ছাড়া হোটেলের বাইরে থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এরপর আর জাতীয় দলে ডাক পাননি তিনি।