সাঙ্গাকারার আবেগঘন বিদায়
ব্যাট করতে নামার সময় বিপুল সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আউট হওয়ার পরও একই রকম ভালোবাসা। বিদায়ী টেস্টের শেষ ইনিংসে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং-কিংবদন্তি, আউট হয়ে গেছেন ১৮ রান করে। ‘সাঙ্গা’র বিদায়ী টেস্টে শ্রীলঙ্কানরাও তেমন স্বস্তিতে নেই। ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৪১৩ রান টপকে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনশেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭২/২। দিমুথ করুনারত্নে ২৫ ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৩ রানে অপরাজিত।
কলম্বোর পি সারা ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে শ্রীলঙ্কা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই কৌশল সিলভা আউট। তারপরই মাঠে নেমেছেন সাঙ্গাকারা। মাঠ থেকে ক্রিজ পর্যন্ত প্রথমে শিশুরা, তারপর প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা এবং সবশেষে দুই আম্পায়ার ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছেন এই অসাধারণ ব্যাটসম্যানকে।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই দুই রান তুলে নেন সাঙ্গাকারা। শুরু থেকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন। ধ্রুপদি ভঙিতে তিনটি চারও মেরেছেন। একবার অবশ্য একটুর জন্য রানআউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন। শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন অশ্বিনের বলে, গালিতে মুরালির বিজয়ের ক্যাচ হয়ে। বিস্ময়করভাবে, এই সিরিজে চারবারই সাঙ্গাকারার ‘ঘাতক’ ভারতের এই দীর্ঘদেহী অফস্পিনার।
ফেরার সময় আবারও আবেগঘন দৃশ্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররা সারিবদ্ধ হয়ে হাত মিলিয়েছেন; দর্শকরা দাঁড়িয়ে, করতালি দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন। সাঙ্গাকারাকে আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে না পাওয়ার দুঃখে সবাই তখন কাতর।
সকালে ১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ভালো পুঁজি এনে দিতে বড় অবদান অজিঙ্কা রাহানে ও মুরালি বিজয়ের। চতুর্থ শতকের দেখা পাওয়া রাহানের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৬ রান। বিজয়ের অবদান ৮২ রান। দুজনের দৃঢ়তায় ৮ উইকেটে ৩২৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে অতিথিরা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন ধাম্মিকা প্রসাদ ও থারিন্ডু কৌশল।