যে আফ্রিকানদের আলোয় আলোকিত হবে রাশিয়া বিশ্বকাপ!
সাত মহাদেশের মোট ৭৩৬ ফুটবলার নিয়ে আসছে জুনে রাশিয়ার মাঠে গড়াচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮। তার মধ্যে পাঁচ আফ্রিকান দেশের ১১৫ ফুটবলার প্রতিনিধিত্ব করবেন মহাদেশটির।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মহাদেশের যে ১০ জন ফুটবলার নিজেদের রঙে রাঙাতে পারেন বিশ্বকাপের ২১তম আসর এক পলক দেখে নেয়া যাক সে দশজনকে:
১. মোহামেদ সালাহ (মিশর):
শেষ একটা বছর তো নিজের আলোয় গোটা ফুটবলকে আলোকিত করেছেন মোহামেদ সালাহ। ক্লাব লিভারপুলের হয়ে রয়েছেন ফাইনালের পথে, মিশরকে টেনে তুলেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় তো নির্বাচিত হয়েছেনই, রয়েছেন ব্যালন ডি’অরের দৌড়েও। আফ্রিকার সেরা খেলোয়াড়ের তকমা গায়ে সেঁটে রাশিয়ার মাঠ মাতানোর অপেক্ষায় থাকা সালাহর দিকেই পাদপ্রদীপের অনেকটা আলোই যে থাকবে সে ভালই বোঝা যাচ্ছে।
২. আবদাল্লাহ সাইদ (মিসর) :
সালাহরই জাতীয় দলের সতীর্থ আবদাল্লাহ সাইদেরও সম্ভাবনা রয়েছে আফ্রিকার হয়ে আসছে বিশ্বকাপ মাতানোর। দক্ষ ও দারুণ ক্ষিপ্র এই সেন্টার মিডফিল্ডার মাঠে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন নিজের দেশ মিসরের সঙ্গে ক্লাব দল আল আহলির হয়ে।
৩. সাদিও মানে (সেনেগাল) :
চতুর গতি, দক্ষতা আর গোল করার তীব্র বাসনা সেনেগালের সাদিও মানেকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। সালাহর ক্লাব দল লিভারপুলের অন্যতম সেরা অস্ত্র এই ২৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। রাশিয়া বিশ্বকাপে মানের ডিফেন্স-চেরা পাস আর নিখুত ফিনিশিং দেখার অপেক্ষায় তাই সবাই।
৪. কালিদাও কৌলিবালি (সেনেগাল) :
ইতালীয় ক্লাব নাপোলির সেন্টার ব্যাক কালিদাও কৌলিবালি নিজের গায়ে সাঁটিয়েছেন সিরি ‘এ’র ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের তকমা। সেনেগালের গোলপোস্ট নামক দূর্গে ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে পারেন কজন সেটা দেখতেই সবার চোখটা থাকবে তাঁর দিকেই।
৫. ভিক্টর মোসেস (নাইজেরিয়া) :
চেলসির উইঙ্গার হয়ে দৌড় তো চলছেই ভিক্টর মোসেসের। এবার নাইজেরিয়ার হয়েও রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁর থেকে দারুণ সব ক্রসে গোলের জোগান দেওয়ার সঙ্গে তাঁর পা থেকেও গোলের আশা করতেই পারে ভক্তরা। সুপার ঈগলসদের বিশ্বকাপ পরিকল্পনার অনেকটা জুড়েই আছেন ২৬ বছর বয়সী মোসেস।
৬. জন ওবি মিকেল (নাইজেরিয়া) :
একটু বয়স হয়ে গেলেও সেটা বরং জন ওবি মিকেলের দলের জন্যই ভালো। আসছে বিশ্বকাপে সাবেক এই চেলসি তারকার নেতৃত্বেই মাঠে নামবে নাইজেরিয়া। এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে তরুণ দল নিয়ে মাঠে লড়বে সুপার ঈগলস। সেক্ষেত্রে ৩১ বছর বয়সী পোড় খাওয়া এই মিডফিল্ডারের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভীষণ কাজে দেবে তাদের।
৭. ইউসেফ মাসাকনি (তিউনিসিয়া) :
ফরোয়ার্ড ও উইঙ্গার দুই চরিত্রেই দারুণ পক্ব তিউনিসিয়ার ইউসেফ মাসাকনিও সমর্থ নিজের রঙে বিশ্বকাপ রাঙানোয়। গায়ানার বিপক্ষে নিজের দেশের হয়ে বিশ্বকাপের বাছাপর্বের ম্যাচে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকও। রাশিয়ায় তিউনিসিয়া দলের আক্রমণ ভাগের পুরোটাই সামলাতে হবে তাঁকেই।
৮. ওয়াহবি খাজরি (তিউনিসিয়া) :
তিউনিসিয়া দলেরই প্লে-মেকার ওয়াহবি খাজরি নিজেও আলোকিত করতে পারেন রাশিয়া। মূলত তাঁর ঘাড়ে চেপেই বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে দলটি।
৯. মেধি বেনাশিয়া (মরক্কো) :
মরক্কো দলের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারের দিকেও থাকবে নজর। জুভেন্টাস দলের রক্ষণভাগের সঙ্গে তিনি সমানতালে সামলে যাচ্ছেন মরক্কোর রক্ষণভাগও।
১০. খালিদ বৌতাইব (মরক্কো) :
মরক্কো দলের আক্রমণভাগ সাজানো হয়েছে খালিদ বৌতাইবকে ঘিরেই। দারুণ ক্ষিপ্র এক ফরোয়ার্ডের গোল করার দক্ষতার কারণেই তাঁকে আলাদাভাবে নিয়ে আসবে পাদপ্রদীপের আলোয়।