বিশ্বকাপ ১৯৯৮
এবার বিশ্বসেরার মুকুট পরল জিদানরা
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। আর মাত্র ১৪ দিন পরই পুরো বিশ্ব মেতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের উন্মাদনায়, যার আঁচটা পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে এনটিভি অনলাইনও নিয়ে এসেছে বিশেষ আয়োজন। আজ পাঠকদের সামনে হাজির করা হচ্ছে ১৬তম বিশ্বকাপের গল্প। ১৯৯৮ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ১৬তম আসরের অনেক অজানা কথা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন :
যার হাত ধরে তৈরি হয়েছিল বিশ্বকাপের মঞ্চ, সেই জুলে রিমের দেশ ফ্রান্সের মাঠে গড়ায় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও ব্রাজিলকে হতে হয়েছে হতাশ। সাম্বা নাচের দেশকে হতাশায় ডুবিয়ে ঘরের মাঠে ট্রফিটা ঘরেই রেখে দেয় জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স।
১৯৯৮ বিশ্বকাপের বল ‘ট্রাইকালার’।
ফ্রান্সের মোট ১০ শহরের ১০টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ১৬তম আসরের মাসকট ছিল ‘ফুটিক্স’ নামের ফ্রান্সের পতাকা ও হোম জার্সির আদলে নীল রঙের একটি তোতা পাখি। মোট ৩৩ দিন ধরে ফ্রান্সের মাঠে চলে ৬৪ ম্যাচের লড়াই।
বিশ্বকাপের ম্যাচ হঠাৎ ৫২ থেকে বেড়ে কেন হয়ে গেল ৬৪? প্রশ্ন থাকতেই পারে। উত্তর হলো, এই আসরেই প্রথম ২৪ দল থেকে বেড়ে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে অংশ নেয় ৩২ দল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ চলছে সে নিয়মেই।
এশিয়া থেকে চারটি, উত্তর আমেরিকা থেকে তিনটি, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে পাঁচটি ও স্বাগতিক ফ্রান্সসহ ইউরোপ থেকে ১৪টি দেশ অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে। আটটি গ্রুপে চারটি করে দল নিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের লড়াই। সেরা ষোলোর লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় আট দল।
কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে সেরা চারে জায়গা পায় ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে ব্রাজিল নেদারল্যান্ডসকে ও স্বাগতিক ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে পরাজিত করে টিকেট পায় ফাইনালের। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্রোয়েশিয়া টুর্নামেন্ট শেষ করে তৃতীয় অবস্থানে থেকে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে এটাই ইউরোপের দেশটির সেরা সাফল্য।
ফ্রান্স বিশ্বকাপের মাসকট ‘ফুটিক্স’।
ফ্রান্সের স্তেদে ডি ফ্রান্স মাঠে গড়ানো ফাইনালে নামে স্বাগতিক দল ও ব্রাজিল। জিদানের জোড়া গোলে ৩-০ গোলে বলা চলে ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপাটা জেতে ফ্রান্স।