অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া লড়াই
পিচের অবস্থা, দুই দলের প্রথম একাদশ, প্রস্তুতি- কোনো ম্যাচ শুরুর আগে এসবই থাকে আলোচনার কেন্দ্রে। কিন্তু ব্রিসবেনে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে একটা প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে। ম্যাচটা আদৌ মাঠে গড়াবে তো? ঘূর্ণিঝড় মার্সিয়া যে আছড়ে পড়েছে কুইন্সল্যান্ডের উপকূলে!
শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, শনিবার ম্যাচের দিনও বৃষ্টি হতে পারে। আইসিসির পক্ষ থেকে অবশ্য ম্যাচ আয়োজনের সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খুব কম বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘গ্যাবা’ নামে পরিচিত ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কিউরেটর কেভিন মিচেল, ‘সাইক্লোন যেভাবে উপকূলে ধেয়ে এসেছে তাতে পরিস্থিতি খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। কালকে খেলা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি তেমন সুবিধাজনক নয়।’
দৈর্ঘ্য কমিয়ে হলেও ম্যাচটা আয়োজন করতে মরিয়া আইসিসি। এক বিবৃতিতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা জানিয়েছে, ‘প্রয়োজন হলে খেলা দেরিতে শুরু করা হবে। অন্তত ২০ ওভার খেলা হলেও একটা ম্যাচ সফলভাবে শেষ হতে পারে।’
শেষ পর্যন্ত খেলা না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে। যেসব ক্রিকেটপ্রেমী অনেকদিন আগে টিকিট কেটে অপেক্ষা করছেন ম্যাচটি দেখার জন্য, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আয়োজকরা।
বৃষ্টির ‘আশীর্বাদে’ ফেভারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না খেলেই এক পয়েন্ট পেলে বাংলাদেশের হয়তো সুবিধা হবে। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা মাঠে নামতে বদ্ধপরিকর। মহাশক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে সিকি-আধা নয়, পুরো ম্যাচ খেলেই নিজেদের যাচাই করে নিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘কার্টেল ওভারের ম্যাচ আমরা অবশ্যই চাই না। কারণ কার্টেল ওভার হলে দলের কম্বিনেশন ঠিক করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভালো করার।’
খেলা না হলে আক্ষেপ থাকবে মাইকেল ক্লার্কেরও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলেননি। ইনজুরি কাটিয়ে শতভাগ ফিট হয়ে শনিবার খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়কের। কিন্তু প্রকৃতির রুদ্ররোষ বিশ্বকাপে তাঁর মাঠে ফেরার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করতে পারে।
ক্লার্ক নিজে অবশ্য ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত মানুষদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত, ‘আমাদের এই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা উপলব্ধি করা দরকার। কুইন্সল্যান্ডের মানুষদের কথা ভাবা দরকার। সবাই যেন নিরাপদে, সুস্থ থাকে তা নিশ্চিত করা দরকার। আমাদের প্রার্থনা তাদের সঙ্গে থাকবে। তারপরই আমরা ক্রিকেট নিয়ে ভাবব। খেলা হলে অবশ্য নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে আমরা প্রস্তুত।’