হ্যাজার্ড ছিলেন ফ্রান্সের খেলোয়াড়!
যে বেলজিয়াম দলটিকে আগে আট-দশটি সাদামাটা দলের মধ্যেই গণনা করা হতো, কালের পরিক্রমায় তারাই এখন ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি। ক্লাব ফুটবলের নামীদামি দলগুলোর মূল তারকা তো এই বেলজিয়ানরাই। তাই ২০১৮ বিশ্বকাপে অনেকের বাজিই ছিল এই ডার্কহর্সদের ওপর। সমর্থকদের ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি প্রমাণিত হলো। এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে বেলজিয়াম।
এডেন হ্যাজার্ড, যিনি কি না মেসি-রোনালদো যুগের পর নেইমারদের সঙ্গে রাজত্ব করবেন বলেই ফুটবলবোদ্ধাদের বিশ্বাস। এবারের আসরে নিজে দুই গোল পেয়েছেন। পাশাপাশি দুই গোলে তাঁর অবদানও রয়েছে। বেশ ফর্মে থাকা এই খেলোয়াড় আজ রাত ১২টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। বেলজিয়ামের হয়ে খেললেও এই তারকা ছিলেন একসময় ফ্রান্সের খেলোয়াড়!
ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হ্যাজার্ড ১৪ বছর বয়সে বেলজিয়াম থেকে ফ্রান্সের লিলেতে খেলতে পাড়ি জমান। হ্যাজার্ডের তিন ভাই-ই ফুটবল খেলতেন এবং তাঁদের তিন ভাইয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জয় বেশ কাছ থেকে দেখেছেন হ্যাজার্ড। জিনেদিন জিদানের নৈপুণ্যে পাওয়া সেই শিরোপা জয়ের উদযাপনে শামিল হয়েছিলেন বেলজিয়ামের এই অধিনায়কও। যখন চারদিকে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের আনন্দ, তখন বেলজিয়ামের জাতীয় দলের কোনো শার্টও ছিল না। শুধুই ফ্রান্সের জয়জয়কার। সেই শার্ট পরেই আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলেন এই ২৭ বছর বয়সী তারকা। অথচ সেই ফ্রান্সের বিপক্ষেই মাঠে নামতে হবে হ্যাজার্ডকে।
শুধু কি হ্যাজার্ড? ফ্রান্স জাতীয় দলের খেলোয়াড় বেঞ্জামিন প্যাভার্ড। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে যিনি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের একাদশে ছিলেন, তাঁর বেড়ে ওঠা বেলজিয়ামের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরে। তিনি বেড়ে উঠেছেন বেলজিয়ামের অধিবাসীদের সঙ্গেই।