হ্যারি কেনরাও হতাশ করলেন ইংল্যান্ডকে
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের আনন্দ শেষ ১৯৬৬ সালেই। সেই আসরে নিজেদের দেশে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ইংলিশরা। এরপর আর শিরোপা জয় তো দূরের কথা, ফাইনালেও যেতে পারেনি। যদিও ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল তারা। কিন্তু ফুটবলের সেরা মঞ্চে এরপর আর নেই তেমন সাফল্য। এবার আশা জেগেছিল আরো একবার ফাইনালের মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরার। হ্যারি ম্যাগুয়ার, দেলে আলিরা ব্যর্থ। ৫০ বছরের বেশি সময় পরে ইংলিশদের ফাইনালের মঞ্চে যাওয়া দেখার মধুর স্মৃতি থেকে বঞ্চিত হয়ে হতাশ ইংলিশরা।
গতকাল রাতে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রাত ১২টায় সেমিফাইনালের মঞ্চে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার। ইতিহাস তো বটেই! ২৮ বছর পর আবারও ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গেছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার ও দেলে আলিরা। ৫২ বছরের খরা কাটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্নও দেখেছিলেন ইংলিশরা। কিন্তু হ্যারি কেন, দেলে আলিরা ইংলিশদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ১৯৯০ সালের পর আবারও সেমিফাইনাল থেকে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয় ইংল্যান্ডের।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর ১৭ বছর বয়সী জোস অগুন্ডে বলেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ হারিয়েছি। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা শক্তভাবেই ফিরে আসব। আমি এখনো বিশ্বাস করি, আমার মৃত্যুর আগে অন্তত একবার ইংল্যান্ডের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার উদযাপন দেখে যেতে পারব।’
২৫ বছর বয়সী ম্যাট রিচি যদিও টুর্নামেন্টের শুরুতে তেমন প্রত্যাশা করেননি। তবে তিনি মনে করেন, এটাই ইংল্যান্ডের শিরোপা জেতার সবচেয়ে ভালো সময় ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
৫০ বছর বয়সী মার্ক বুচার বলেন, ‘এটা দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। ক্রোয়েশিয়ারই জয় প্রাপ্য। তবে ইংল্যান্ড এত সহজ সুযোগ আর পাবে না। অন্য দলগুলোর দিকে তাকান। তারা সবাই তরুণ। তারা এবার পারেনি, কিন্তু সামনে ঠিকই পারবে।’