ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় বেলজিয়াম
শেষ চারে ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বেলজিয়ামের। সোনালি প্রজন্ম নিয়ে এসেও তারা পারেনি ফাইনালে উঠতে। তাই গড়া হয়নি তাদের ইতিহাস। হ্যাজার্ড-লুকাকুদের সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে। ম্যাচে তারা জিতেছে ২-০ গোলে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বেলজিয়ামের জয়ের নায়ক টমাস মুয়েনিয়ার ও এডেন হ্যাজার্ড।
তারা এগিয়ে যায় ম্যাচের শুরুতেই টমাস মুয়েনিয়ার গোলে। নাসের চাডলির চমৎকার ক্রসে এই বেলজিয়ান ডিফেন্ডার অসাধারণ প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
এক গোলে এগিয়ে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বেলজিয়াম, দ্বাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। ইংলিশ রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান কেভিন ডি ব্রুয়ইয়ান। তাঁর চমৎকার শট এক হাত দিয়ে রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
২৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে ইংল্যান্ড। রাহিম স্টারলিংয়ের পাসে হ্যারি কেনের জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। তা না হলে গোল হতেও পারতো।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে আরো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ৬৯ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েও গিয়েছিল তারা। ডি-বক্সে ঢুকে এরিক ডায়ারের অসাধারণ শট, শেষ মুহূর্তে এসে পা বাড়িয়ে বল ঠেকিয়ে দেন টবি আল্ডারভাইরেল্ড। তাই রক্ষা পায় রেলজিয়াম।
ইংল্যান্ড শত চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারছিল না, ঠিক সেই সময়ে আরো একটি গোল খেয়ে বসে তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বেলজিয়ামের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডর এডেন হ্যাজার্ড। ৮২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ডি ব্রুয়ইয়ানের পাওয়া ক্রসে বক্সে ঢুকে চমৎকার শটে বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
এই জয় আসরে তৃতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বেলজিয়ামকে। আর ইংল্যান্ডকে আবারো হতাশ হতে হয়েছে।
অবশ্য আসরের গ্রুপ পর্বেও এই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বেলজিয়াম। সে ম্যাচে হ্যাজার্ড-লুকাকুরা জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পেয়েছে আরো বড় ব্যবধানে জয়।