ফ্রান্স নাকি ক্রোয়েশিয়া, কে হবে চ্যাম্পিয়ন?
এবার অঘটনের বিশ্বকাপে একমাত্র ফ্রান্সই এখন পর্যন্ত ফেভারিটের তকমা লাগিয়ে দাপটের সঙ্গে টিকে আছে। কৌশলী বেলজিয়ামের বিপক্ষে সেমিফাইনালে লড়াই করে পৌঁছে গেছে ফাইনালের মঞ্চে। অন্যদিকে, রাশিয়া বিশ্বকাপে আসার আগে কে ভেবেছিল, এই ক্রোয়েশিয়া পৌঁছে যাবে ফাইনাল লড়াইয়ের মঞ্চে! বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও সরাসরি পেরোতে পারেনি দলটি।
প্লে-অফে গ্রিসের বিপক্ষে জিতে তারা নিশ্চিত করে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু মূলমঞ্চে দাপটের সঙ্গে একের পর এক ম্যাচ জিতে এখন তারা ফাইনালে। এই দুই দল আজ মুখোমুখি হবে ফাইনাল লড়াইয়ের মঞ্চে। শিরোপা জেতার এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে।
এবার শিরোপার অন্যতম দাবিদার ফ্রান্স বেশ ধারাবাহিক দল। এর আগে টানা ২৭টি ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। তা ছাড়া, পুরো দল তারকা খেলোয়াড়ে ঠাসা। কিলিয়াম এমবাপে, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিরু, উসমানে দেম্বেলেরা যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারেন। পল পগবা পুরো মধ্যমাঠের দায়িত্ব একাই সামলান।
অন্যদিকে, ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে এসেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। উঠেছিল সেমিফাইনালে। এরপর চারটি তিনটি বিশ্বকাপে হতাশ করেছে তারা। তিনবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে, আর একবার তো মূল পর্বে খেলার সুযোগই পায়নি। দীর্ঘদিন পর আবার তারা বিশ্বকাপে খেলতে গেছে সোনালি প্রজন্ম নিয়ে। ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা আছেন দারুণ ফর্মে। মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ, ইভার রাকিটিচ আছেন ফর্মের তুঙ্গে। ক্রোয়াটদের পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে ৩২ বছর বয়সী দলের অধিনায়ক মদ্রিচের হাতে। দলের সবচেয়ে বড় ভরসা দলটির মধ্যে টিম কম্বিনেশন চমৎকার এবং পুরো একটি দল ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করে।
এবারের মতো তৃতীয়বার বিশ্বকাপ আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালের শিরোপাজয়ী ফ্রান্স এবারের আসরের শিরোপার অন্যতম দাবিদারও বটে। অন্যদিকে, অভিজ্ঞতায় ফ্রান্সের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছে ক্রোয়েশিয়া। তবে তাঁদের সোনালি প্রজন্মের উপর ভরসা করাটাও অবান্তর না। এই তরুণ প্রজন্ম কি পারবে অভিজ্ঞতাকে টপকে তারুণ্য দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে? জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আজ রাতের ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত।