ফরাসি তারুণ্যের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়
ইতিহাস গড়া হলো না ক্রোয়েশিয়ার। সোনালি প্রজন্ম নিয়ে এসেও পারল না রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে। তারুণ্যে উজ্জীবিত ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়াটদের হারিয়ে আবার জিতেছে বিশ্বকাপ। দীর্ঘ ২০ বছর পর এই শিরোপার উল্লাস করে তারা।
ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার তাদের দ্বিতীয় শিরোপা জয়। অবশ্য ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও ইতালির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল তাদের। এবার আর তা হয়নি, সোনালি প্রজন্মের ক্রোয়েশিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়েই শিরোপা জিতে নেয় তারা।
অবশ্য ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স (১-০)। বক্সের বাইরে থেকে আতোয়োন গ্রিজম্যানের চমৎকার ফ্রি-কিকে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন বল মারিও মান্দজুকিচ। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় জালে।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে গোলটি সমতায় নিয়ে আসে ক্রোয়েশিয়া (১-১)। ঠিক ১০ মিনিট পর চমৎকার গোলে দলকে খেলায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। বক্সে ঢুকেই তাঁর চমৎকার প্লেসিং বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে।
৩৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স (২-১)। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আতোয়োন গ্রিজম্যান। বক্সের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্ডার পেরিসিচের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
ফ্রান্সের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন পল পগবা। ৫৯ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে আচমকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার।
ছয় মিনিট পর দলের ব্যবধান আরো বড় করেন (৪-১) এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া একটি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে গোল করেন তিনি।
৬৯ মিনিটে মারিও মান্দজুকিচ ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান (২-৪)। ফ্রান্স গোলরক্ষকের সমানে থেকে বল নিয়েই জালে জড়ান তিনি।
মান্দজুকিচের এই গোলে ব্যবধান কিছুটা কমলেও ক্রোয়াটদের হার এড়ায়নি। তাই প্রথমবার ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
ক্রোয়েশিয়া পুরো আসরে দারুণ খেলেও ফাইনালে গিয়ে আর পারেনি তারুণ্য-নির্ভর ফ্রান্সের সঙ্গে। অবশ্য ফাইনালে যে তারা খারাপ খেলেছে সেটা বলা যাবে না। তবে ফ্রান্সের কৌশলি ফুটবলের কাছে।