ভারতের ব্যাটিং বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং
বিশ্বকাপের প্রথম দিনে মেলবোর্নে মুখোমুখি হয়েছিল ক্রিকেটের দুই ‘আদি শত্রু’ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার সেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আরেকটি আকর্ষণীয় লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট প্রস্তুত। এবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের সামনে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের নিয়ে গড়া ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ খুব শক্তিশালী। অন্যদিকে ডেল স্টেইন, মর্নে মরকেল, ভার্নন ফিল্যান্ডার, কাইল অ্যাবট সমৃদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ যে কোনো ব্যাটসম্যানের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেবেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে ভারতের জয়ের নায়ক বিরাট কোহলির ধারণা, ‘টিম ইন্ডিয়া’র ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে প্রোটিয়া বোলারদের লড়াইয়ের ওপরেই নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য, ‘ওদের কয়েকজন ভালো পেসার আছে আর আমাদের আছে ব্যাটসম্যান। তাই মনে হচ্ছে ওদের বোলার ও আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জমজমাট লড়াই হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপও অবশ্য সমীহ জাগানোর মতো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটসম্যান কুইনটন ডি কক, হাশিম আমলা, ফাফ ডু প্লেসি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স জ্বলে উঠতে পারেননি। তবু ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনির দুটো দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ৩৩৯ রান এনে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের।
ভারতের বিপক্ষে দলের সব বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকেই ভালো পারফরম্যান্স আশা করছেন অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি তা খুবই ইতিবাচক ছিল। তবে আমাদের টপ অর্ডারকেও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে জ্বলে উঠতে হবে। ব্যাটিংয়ে আমরা গত ম্যাচ থেকে এটাই শিখেছি।’
ইতিহাস কথা বলছে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। বিশ্বকাপে এর আগে তিনটি মুখোমুখি লড়াইয়েই ভারতকে হারিয়েছিল তারা। প্রোটিয়া কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো অবশ্য এই পরিসংখ্যানকে পাত্তা দিতে রাজি নন, ‘ভারত এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদের দলটা দারুণ। আগের বিশ্বকাপে কী ঘটেছিল সেসব এখন কোনো কাজে আসবে না।’
চার বছর আগে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গ্যারি কারস্টেন এবার দক্ষিণ আফ্রিকার পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক দলের শক্তি-দুর্বলতা তাঁর ভালোই জানার কথা। কারস্টেনের দেওয়া তথ্য সাহায্য করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।