বাংলাদেশ সফরের পক্ষে মাইকেল ক্লার্কের অবস্থান
অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের ওপরে জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কায় ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা শন ক্যারল ছুটে এসেছেন ঢাকায়। অস্ট্রেলীয় দূতাবাসে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় ব্যস্ত। আলোচনার ফলাফল জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। তবে যে সিদ্ধান্তই হোক, মাইকেল ক্লার্কের বিশ্বাস সাবেক সতীর্থদের বাংলাদেশে যেতে আপত্তি নেই।
এবারের অ্যাশেজ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ক্লার্ক। তাঁর অবসরের পর বাংলাদেশই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সফর। অথচ সেই সফর নিয়েই কি না এমন ঝামেলা! স্টিভেন স্মিথের পূর্বসূরির হতাশ হওয়ারই কথা। অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইট এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল ক্লার্কের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা সত্যিই বাংলাদেশে যেতে চান কি না এমন প্রশ্নে তাঁর সরাসরি জবাব, ‘আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে তারা (বাংলাদেশে) যেতে চায়। তবে অন্যান্যবারের মতো এবারও খেলোয়াড়দের যাওয়া-না যাওয়া নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তের ওপরে। এটা এমন এক পরিস্থিতি যখন খেলোয়াড়রা চাচ্ছে ডিফ্যাট (অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক বিভাগ), সিএ আর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন যেন তাদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয়।’
ক্লার্কের ধারণা সফর কয়েকদিন পিছিয়ে গেলেও ক্রিকেটাররা তেমন দুঃখ পাবেন না, ‘যদি বলা হয় ছেলেদের সফর কয়েক দিনের জন্য মুলতবি করা হয়েছে, তাহলে পুরো সফরের ওপর প্রভাব না পড়াই উচিত। কিন্তু যদি বলা হয় এক বা দুই সপ্তাহ পরেও তারা যাবে না, তাহলে ভিন্ন কথাই ভাবতে হবে আমাদের।’
২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে জঙ্গি হামলার পর দীর্ঘ ছয় বছর পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। গত মে মাসে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফরে গেলেও দেশটিতে করে পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে, তা এখনো অজানা। পাকিস্তানে কখনোই খেলতে না পারার প্রসঙ্গ টেনে ক্লার্কের মন্তব্য, ‘ক্রিকেটের মঙ্গলের জন্যই সবগুলো দলের পৃথিবীজুড়ে, ভিন্ন ধরনের সব কন্ডিশনে খেলা উচিত। আমি কখনো পাকিস্তানে খেলার সুযোগ পাইনি। আশা করি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীতে ক্রিকেট খেলা হবে। আর এ ধরনের (নিরাপত্তাজনিত) সমস্যাতেও আমাদের পড়তে হবে না।’