শুভ জন্মদিন মাশরাফি
চোটের কারণে ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন একাডেমি মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়া চেহারাটা আজো ভুলতে পারেননি বহু সাংবাদিক। তবে তার চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই অসাধারণ সাফল্যে আনন্দে ভেসেছে বাংলাদেশের মানুষ। শুধু বিশ্বকাপে সাফল্য নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার অন্যতম নায়কও তিনি। সোমবার বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্মদিন।
১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে জন্ম নেওয়া মাশরাফির অধিনায়কত্বে গত এক বছরে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে মাশরাফির দলের স্বপ্নযাত্রার সূচনা। এর পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরণ এবং সেখানে ভারতের কাছে বিতর্কিত হার। দেশে ফিরে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব-ক্রিকেটে নতুন উচ্চতায়। বিশ্বকাপের পর ওয়ানডের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনের পেছনে মাশরাফির বিশাল অবদান।
৩৬টি টেস্টে ৭৮ এবং ১৫৭টি ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট নেওয়া এই পেসারের জীবনের গল্পটাও দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী। দুই হাঁটুতে সাত-সাতটি অস্ত্রোপচারও তাঁকে দমাতে পারেনি। অদম্য মানসিকতা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন, বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন; বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন সম্মানজনক জায়গায়।
জন্মদিনে মাশরাফিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আইসিসি। টুইটারে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শুভেচ্ছাবাণী, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু বাংলাদেশ ওডিআই ক্যাপ্টেন, মাশরাফি মুর্তজা।’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমসহ সতীর্থ অনেক ক্রিকেটার।