হকির সমস্যার সমাধান কবে?
চারটি ক্লাবকে খেলায় ফিরিয়ে আনতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে হকি ফেডারেশন। মোহামেডানের নেতৃত্বে মেরিনার ইয়াংস, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির অধীনে কোনো খেলায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। ফেডারেশন কতৃর্পক্ষ তাই বেশ অস্বস্তিতে। কর্মকর্তারা তাকিয়ে আছেন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভার দিকে। সভাপতি ও বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারীর উপস্থিতিতে সভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ফেডারেশন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
সভার দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই সভায় বসার কথা জানিয়ে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের খেলায় ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আগের অবস্থানেই আছে। এখন কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
আগামী এপ্রিল থেকে হকি-মৌসুম শুরু করার পরিকল্পনা ছিল ফেডারেশনের। কিন্তু চারটি ক্লাবের অনাগ্রহ সেই পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে জানিয়ে রহমতউল্লাহ বলেছেন,
‘মার্চে দলবদল এবং এপ্রিলে লিগ শুরু করার লক্ষ্য ছিল আমাদের। আমরা প্রিমিয়ার লিগের ১০টি ক্লাবের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু ছয়টি ক্লাব সাড়া দিলেও বাকি চার ক্লাবের অনাগ্রহের কারণে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে পারছি না।’
মোহামেডান, মেরিনার ইয়াংস, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের দাবি, হকি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি অবৈধ। তাই এই কমিটির অধীনে তাদের পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। প্রায় দেড় বছর ধরে কমিটি বাতিলের দাবিতে অটল ক্লাব চারটি গতবারের মতো এবারও লিগ বয়কট করার পক্ষে।
মোহামেডানের পরিচালক ও হকি কমিটির কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন কিছুতেই ‘রহমতউল্লাহর কমিটি’র অধীনে খেলতে রাজি নন, ‘আমরা হকি লিগে খেলতেই চাই। কিন্তু এই অবৈধ কমিটির অধীনে কোনো খেলায় অংশ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’