স্কয়ার ড্রাইভ
শ্রীলঙ্কাকে হারানো অসম্ভব নয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে মাশরাফিদের। খেলোয়াড়রা শতভাগ উজাড় করে দিয়ে একাট্টা হয়ে খেলতে পারলে বাংলাদেশের পক্ষে এই ম্যাচ জেতা অসম্ভব নয়।
শ্রীলঙ্কার এবারের দলটিকে খুব একটা গোছালো মনে হচ্ছে না। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে লম্বা সিরিজ খেলার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। প্রায় দুই মাসের সফরের কারণে তাদের খেলোয়াড়দের ক্লান্ত মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা দারুণ সুযোগ।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ভালো খেলতে পারলে জেতা অসম্ভব হবে না। যদিও বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে দুটোতেই বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার জিততে পারলে সেই হতাশা অনেকখানি দূর হবে।
ম্যাচটা ডে-নাইট, তাই এই ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। টস জিতে যে দল আগে ব্যাট করবে তারা বেশি সুবিধা পাবে।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পেসার আল-আমিনকে দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা বাংলাদেশ দলের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার পরামর্শ, এসব বিষয়কে পেছনে ফেলে খেলায় মনোযোগ দাও।
মঙ্গলবার নেট প্র্যাকটিসের সময় মুশফিকের আঙুলের চোট ভয় পাইয়ে দিয়েছিল আমাদের। সুখবর হলো চোটটা গুরুতর নয়। তবে মুশফিক সম্ভবত উইকেট কিপিং করতে পারবে না, শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে। তাতেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তার জায়গায় এনামুল কিপিং করবে। সে এই কাজে যথেষ্ট পারদর্শী।
ব্যাটসম্যান হিসেবে এনামুল নিজেকে প্রমাণ করেছে। এবার তার সামনে উইকেট কিপার হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ। ওকে আমি ২০১০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে চিনি। ওই টুর্নামেন্টে আমি বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলাম। উইকেট কিপার হিসেবে এনামুলের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। আমার বিশ্বাস, বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে এনামুল উইকেট কিপারের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করতে পারবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।