মিসবাহদের প্রেরণা ১৯৯২ বিশ্বকাপ
১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনাল নিয়ে যখন সংশয়, তখন অধিনায়ক ইমরান খান সতীর্থদের খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কের দল ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল দুর্দান্তভাবে। লিগ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে বিশ্বকাপের দুই আয়োজক নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত শিরোপাও জিতেছিল।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে আরেকটি বিশ্বকাপের শুরুতেও একই রকম বেহাল দশা পাকিস্তানের। প্রথম দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে হেরে গেছে মিসবাহর দল। রোববার ব্রিসবেনে জিম্বাবুয়ের কাছেও হেরে গেলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা চেপে ধরবে পাকিস্তানকে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সতীর্থদের চাঙ্গা করতে মিসবাহ-উল-হক ফিরে যাচ্ছেন ২৩ বছর আগে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের কথা দলের সবাইকে মনে করিয়ে দিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাল ছেড়ে না দেওয়া। একজন খেলোয়াড় এবং দল হিসেবে এটাই আমাদের করতে হবে। ইমরান খান ঠিক এটাই করেছিলেন ১৯৯২ সালে। দল কঠিন সময় পার করলেও তাঁরা হাল ছেড়ে দেননি। তাঁরা ভালো খেলার চেষ্টা করে গেছেন এবং বিশ্বকাপে যা চেয়েছিলেন তা করতে পেরেছিলেন।’
শুধু মাঠের ভেতরের হতাশাজনক পারফরম্যান্স নয়, মাঠের বাইরের নানা বিতর্কিত ঘটনাও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান দলকে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে দেরি করে হোটেলে ফেরার অপরাধে জরিমানা হয়েছিল আফ্রিদি-শেহজাদসহ আট ক্রিকেটারের। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে ক্যাসিনোতে গিয়ে তোলপাড় তুলে দেশে ফিরে গেছেন প্রধান নির্বাচক মঈন খান। রোববার ব্রিসবেনের গ্যাবায় নামার আগে তাই তেমন স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান।