স্বস্তির জয়ে লড়াইয়ে পাকিস্তান
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে রোববার তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। ব্রিসবেনে ২০ রানের জয়ে মিসবাহর দলের কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্নও টিকে রইল।
পাকিস্তানের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান ওয়াহাব রিয়াজের। দলের সংকটে অপরাজিত ৫৪ রানের দারুণ ইনিংসের পর বল হাতেও জ্বলে উঠে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরেক বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ ইরফানেরও শিকার চার উইকেট।
তিন ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে পাকিস্তানের অবস্থান আপাতত ষষ্ঠ। টানা তিন ম্যাচ জিতে ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করা ভারত আছে গ্রুপের শীর্ষে। সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও উমর আকমলের ৬৯ রানের জুটি যখন ১৯৯২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভালো সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ঠিক তখনই জোড়া ধাক্কা। শন উইলিয়ামসের করা ৩৪তম ওভারে আকমল (৩৩) ও শহীদ আফ্রিদির (০) বিদায়ে আবার চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে মিসবাহর অধিনায়কোচিত ৭৩ রানের সঙ্গে রিয়াজের ৪৬ বলে ৫৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস পাকিস্তানকে এনে দেয় ২৩৫ রানের লড়াইয়ের পুঁজি।
৩৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার পেসার তেনদাই চাতারা।
জবাব দিতে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। অবশ্য দলীয় ২২ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে দলে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২৯)। ২২তম ওভারে এই জুটি ভাঙলেও চতুর্থ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন টেলর ও শন উইলিয়ামস (৩৩)।
৩০তম ওভারে টেলরকে (৫০) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দি করে আবার পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান রিয়াজ। এরপর রিয়াজ-ইরফানের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানে শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার লড়াকু ৩৫ রানে হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে আফ্রিকার দেশটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ২৩৫/৭ (জামশেদ ১, শেহজাদ ০, সোহেল ২৭, মিসবাহ ৭৩, উমর ৩৩, আফ্রিদি ০, মাকসুদ ২১, রিয়াজ ৫৪* সোহেল ৬*; চাতারা ৩/৩৫, উইলিয়ামস ২/৪৮, রাজা ১/৩৪, মুপারিওয়া ১/৩৬)।
জিম্বাবুয়ে : ৪৯.৪ ওভারে ২১৫ (চিভাভা ৯, রাজা ৮, মাসাকাদজা ২৯, টেলর ৫০, উইলিয়ামস ৩৩, আর্ভিন ১৪, মায়ার ৮, চিগুম্বুরা ৩৫, মুপারিওয়া ০, পানিয়াঙ্গারা ১০, চাতারা ০*; ইরফান ৪/৩০, রিয়াজ ৪/৪৫, রাহাত ১/৩৭)।
ফল : পাকিস্তান ২০ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : ওয়াহাব রিয়াজ।