মাহমুদউল্লাহর রানআউট বিতর্ক!
বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে শতক করার পর থেকেই মাহমুদউল্লাহ ভুগছিলেন রানের খরায়। বুধবারের আগে সর্বশেষ নয়টি ম্যাচে করতে পেরেছিলেন মাত্র একটি অর্ধশতক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে স্বরূপে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ, পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম অর্ধশতক। কিন্তু তার আগে রানআউট বিতর্কের ‘শিকার’ হতে হয়েছে তাঁকে।
গ্রেম ক্রেমারের করা ৪৫তম ওভারের শেষ বলটি কাভারের দিকে ঠেলে দিয়েই রান নেওয়ার জন্য ছুটেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তাঁর ডাকে সাড়া দেননি অন্য প্রান্তে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা। দারুণ এক থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডার। পিচের অর্ধেকেরও বেশি পেরিয়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ আর ফেরার চেষ্টা করেননি, সাজঘরের দিকে হাঁটা দিয়েছিলেন।
কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে থামিয়ে দেন আম্পায়াররা। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে লাগার আগেই গ্লাভস দিয়ে বেল ফেলে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক রিজিস চাকাবভা। বেশ কিছুক্ষণ সবাইকে উৎকণ্ঠায় রাখার পর জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘নট আউট’। আবার উইকেটে ফিরে আসেন ৩২ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ।
তবে এখানেই নাটকের শেষ নয়। হাত দিয়ে বেল ফেলে দিলেও পরে নিয়ম অনুযায়ী মাটি থেকে স্টাম্প তুলে সেটা বলে ঠেকিয়েছিলেন চাকাবভা। তাই আউটের দাবি জানিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আম্পায়ারের সঙ্গে দেন-দরবার করেছিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। আরেক দফা থার্ড আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মাঠের আম্পায়ার আলিম দার। শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয় ‘নট আউট’।
জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক স্টাম্প তুলে বল ঠেকানোর সময় বল ‘ডেড’ হয়ে গিয়েছিল। নট আউট দেওয়ার পেছনে এই ছিল থার্ড আম্পায়ারের যুক্তি। ইনিংস শেষে এ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যান অবশ্য কোনো বিতর্কের মধ্যে জড়াতে চাননি। বলেছেন, ‘আমি জানি না যে সেটা আউট ছিল নাকি নট আউট। আমাদের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা উচিত। তিনিই বিচারক। আমি জানি না সেই সময় কী হচ্ছিল।’
৪০ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ শেষপর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন রান আউট হয়েই।