স্কয়ার ড্রাইভ
ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে পাকিস্তানকে
আগেই বলেছিলাম, জিম্বাবুয়ের এই দলকে হারানো পাকিস্তানের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। ঠিক তাই হয়েছে। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো করতে পারেনি। ফিল্ডিংও ভালো হয়নি। শুধু বোলারদের দাপট জয় এনে দিয়েছে তাদের। বিশ্বকাপে তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলেও এই জয় পাকিস্তানকে অনেক স্বস্তি দেবেই।
এই জয়ে পাকিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনালের আশাও বেঁচে রইল। পরের ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর তাদের বিশ্বকাপ-ভাগ্য নির্ভর করছে।
মিসবাহর দলকে সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো করতে হলে ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একসময় মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বোধহয় ২০০ রানও করতে পারবে না। সপ্তম উইকেটে মিসবাহ ও ওয়াহাব রিয়াজের ৪৭ রানের জুটির সৌজন্যে প্রতিপক্ষকে ২৩৬ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে তারা। রিয়াজের ৫৪ রানের হার-না-মানা ইনিংসটি অসাধারণ।
২৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে যে কোনো দলের বিপক্ষেই জেতা খুব কঠিন। কিন্তু বোলারদের কল্যাণে পাকিস্তান ম্যাচটি জিততে পেরেছে। ইরফান ও রিয়াজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। একসময় অবশ্য মনে হচ্ছিল জিম্বাবুয়ে জিতেও যেতে পারে। কিন্তু শেষ দিকে রিয়াজের তোপে তা সম্ভব হয়নি।
এই ম্যাচে দারুণ লড়াই হয়েছে। শেষ বল পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর আরেকটি উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পারল ক্রিকেট-ভক্তরা।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।