সুজনকে নিয়ে ক্যাসিনো-বিতর্ক
কয়েক দিন আগে ক্যাসিনোতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মঈন খানকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ক্যাসিনো-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের ৯২ রানের হতাশাজনক হারের পর ক্যাসিনোতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
ডলার হাতে জুয়ার বোর্ডের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় সুজনের একটি ছবি তোলপাড় তুলেছে সামাজিক গণমাধ্যমে। ব্রিটেনভিত্তিক ওয়েবসাইট ইউকেবিডিনিউজ ডটকম এবং ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন এ নিয়ে রিপোর্টও করেছে। বেসরকারি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনকে ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুজন। তবে সেখানে শুধু রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন বলে দাবি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের।
মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ক্যাসিনোতে গিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন সুজন। তবে ক্যাসিনোতে শুধু খেতে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার বলেন, ‘খেলা শেষ হওয়ার পর আমরা যেখানে খেতে যাই। সেখানে একটাই রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে। সেটা ওই ক্যাসিনো হোটেলেই। আসার সময় আমরা সেদিক দিয়েই ফেরত আসি। তখনই হয়তো দেখেছে কেউ।’
হতাশাজনক হারের পর ম্যানেজারকে ক্যাসিনোতে দেখা গেলে সেটা দলে বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘ছেলেরা আমার সম্পর্কে খুব ভালোই জানে। আমি কী করতে পারি, না করতে পারি। আমার মনে হয় না, এটা এমন কোনো বড় ইস্যু। আমি সেখানে গেলেই যে (জুয়া) খেলছি, ব্যাপারটা এমন কিছু না।’
এ ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ আগে দেরি করে হোটেলে ফেরায় দেশে ফিরতে হয়েছে পেসার আল-আমিনকে। ‘আল-আমিনকাণ্ড’ নিয়ে হৈচৈয়ের সময় রাত ১০টার পর হোটেলের বাইরে থাকতে হলে টিম ম্যানেজমেন্টের অনুমতি নিতে হয় বলে জানিয়েছিলেন স্বয়ং সুজন। তবে তাঁর নিজের ক্ষেত্রে এমন কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ম্যানেজার, ‘আল-আমিন কিন্তু একজন খেলোয়াড়। আর তার নিয়মশৃঙ্খলার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। আমিও আমার নিয়মশৃঙ্খলা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছি—আমি কতটুকু কী করতে পারি, না করতে পারি। মনে হয়েছিল, আমার খাওয়ার দরকার আছে। তাই আমি খেতে গেছি। এটা কাউকে বলতে হবে বলে আমি মনে করি না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান মাছরাঙা টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো তিনি কিছু জানেন না। এ ব্যাপারে ভালোমতো না জেনে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি। সুজনের বিরুদ্ধে বিসিবি কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাকে তো হাফ-হার্টেড ডিসিশন নিলে হবে না। নতুন আরেকজন ম্যানেজার দেওয়ার মতো গ্যাঞ্জামে আমি পড়তে চাইছি না এ মুহূর্তে। যেটাই করি, সেটা দেশে আসার পরে বা বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরে।’