পাকিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রাখা জয়
প্রথম দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে হেরে বিপদে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে জিম্বাবুয়ের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও হারিয়ে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। আমিরাতের বিপক্ষে ১২৯ রানের বিশাল জয়ের সুবাদে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নেট রান রেটেরও উন্নতি হয়েছে অনেক।
নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। চতুর্থ ওভারেই নাসির জামশেদকে ফিরিয়ে আমিরাতকে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন পেসার মনজুলা গুরুগে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬০ রানের জুটি গড়ে দলে স্বস্তি নিয়ে আসেন আহমেদ শেহজাদ ও হারিস সোহেল। বিশ্বকাপে এটা পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি।
৩৩তম ওভারে হারিসকে (৭০) আউট করে জুটিটা ভেঙে দেন মোহাম্মদ নাভিদ। দুই ওভার পর শেহজাদও আউট। রান আউটের খাঁড়ায় কাটা পড়ে মাত্র ৭ রানের জন্য সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পাননি এই ডানহাতি ওপেনার। শেহজাদের ১০৫ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে চার আটটি ও ছক্কা একটি।
শেহজাদের বিদায়ের পর আমিরাতের বোলারদের ওপর চড়াও হন মিসবাহ-উল-হক। চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে শোয়েব মাকসুদ ও উমর আকমলের সঙ্গে অধিনায়কের ৭৫ ও ৬১ রানের দুটো ভালো জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে।
মিসবাহর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৯ বলে ৬৫ রান। মাকসুদও ছিলেন আক্রমণাত্মক। ৩১ বলে তাঁর অবদান ৪৫ রান। শেষ দিকে আকমলের ১৩ বলে ১৯ ও আফ্রিদির ৭ বলে অপরাজিত ২১ রানের দুটো ‘ক্যামিও’ ইনিংস পাকিস্তানকে এনে দেয় ছয় উইকেটে ৩৩৯ রান। পাকিস্তানের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে আট হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন আফ্রিদি।
৫৬ রানে চার উইকেট নিয়ে আমিরাতের সেরা বোলার গুরুগে।
জবাবে ২৫ রানে তিন উইকেট হারালেও অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়তে হয়নি আমিরাতকে। শাইমান আনোয়ার ও খুররাম খানের মধ্যে গড়ে ওঠা ৮৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপে আমিরাতের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান শাইমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রান। খুররামের অবদান ৪৩। এ দুজনের বিদায়ের পর আমজাদ জাভেদের ৪০ ও স্বপ্নীল পাতিলের ৩৬ রান ২০০ রানের ওপরে নিয়ে গেছে আইসিসির সহযোগী সদস্যদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ৩৩৯/৬ (জামশেদ ৪, শেহজাদ ৯৩, হারিস ৭০, মাকসুদ ৪৫, মিসবাহ ৬৫, উমর ১৯, আফ্রিদি ২১*, ওয়াহাব ৬*; গুরুগে ৪/৫৬, নাভিদ ১/৫০)।
আরব আমিরাত : ৫০ ওভারে ২১০/৮ (আমজাদ ১৪, বেরেনজার ২, কৃষ্ণ ০, খুররাম ৪৩, শাইমান ৬২, পাতিল ৩৬, মুস্তফা ০, জাভেদ ৪০, নাভিদ ০*, তৌকির ০*; আফ্রিদি ২/৩৫, সোহেল খান ২/৫৪, রিয়াজ ২/৫৪, মাকসুদ ১/১৬, রাহাত ১/৩০)।
ফল : পাকিস্তান ১২৯ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : আহমেদ শেহজাদ।