মাশরাফির ভাবনায় শুধুই জয়
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় এক পয়েন্ট প্রাপ্তি আর শ্রীলঙ্কার কাছে ইংল্যান্ডের হার বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালের সমীকরণ অনেক সহজ করে দিয়েছে। স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো দুই ‘ল্যান্ড’কে হারাতে পারলেই শেষ আটের টিকিট পেয়ে যাবে মাশরাফির দল। স্বপ্নপূরণের পথে প্রথম বাধা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দারুণ ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ড। কোনো ‘ঝুঁকি’ না নিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য প্রথমে স্কটল্যান্ড এবং তারপর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা। ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের ছোট্ট শহর নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটাকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপলক্ষ্য হিসেবে দেখছেন মাশরাফি। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জয়ের প্রত্যাশা করছি। হেরে গেলে নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তাই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ আছে আমাদের সামনে। কাল জিততে পারলে আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারব।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়ায়। এবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাশরাফিদের খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। অন্যদিকে স্কটিশরা তাদের তিনটি ম্যাচই খেলেছে নিউজিল্যান্ডে।
মাশরাফি অবশ্য মনে করেন না, তাঁদের চেয়ে অনেক আগে নিউজিল্যান্ডে আসায় নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে প্রতিপক্ষ বাড়তি সুবিধা পাবে। তিনি বলেছেন, ‘খেলা যেখানেই হোক, আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে দিনটা আমাদেরই হবে। আমরা শুধু একটা কথাই চিন্তা করছি এখন—কীভাবে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি আর এই ম্যাচ জিতে পরের ম্যাচের সামনে দাঁড়াতে পারি।’
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্য মাশরাফি-সাকিবদের অনুপ্রাণিত করবেই। এর আগে তিনটি মুখোমুখি লড়াইয়েই স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৯৯৯ সালে স্কটিশদের হারিয়েই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছিল। এবার মাশরাফিদের সামনে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির সুযোগ।