স্কয়ার ড্রাইভ
স্কটল্যান্ড মানেই অনেক মধুর স্মৃতি
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হলেই আমার ১৯৯৯ বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ে যায়। ১৬ বছর আগে তাদের হারিয়েই বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলাম আমরা। সেই ম্যাচের সঙ্গে আমার অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে। মাত্র ২৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমার অপরাজিত ৬৮ রান বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিয়েছিল। এরপর বোলারদের নৈপুণ্যে আমরা জিতেও গিয়েছিলাম। ওই জয়ে অবদান রাখতে পারায় আজও গর্ববোধ করি। সেদিন আমি ওই ইনিংস খেলতে না পারলে বাংলাদেশের বিপর্যয় হয়তো আরো বেড়ে যেত। সময়োপযোগী ইনিংস খেলতে পেরেছিলাম বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
আশা করি বৃহস্পতিবার ছেলেরা আরো ভালো খেলে দলকে দারুণ একটা জয় উপহার দেবে। আমাদের দলের সেই সামর্থ্য আছে। আমার বিশ্বাস, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বেটার’ দল হিসেবেই বাংলাদেশ জয় পাবে।
স্কটল্যান্ডের এই দলটা বাংলাদেশকে তেমন ভোগাতে পারবে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশন এক নয়। নেলসনের উইকেট একেবারেই ‘ফ্ল্যাট’। এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি।
টস জিতলে বাংলাদেশ পরে ব্যাট করলেই ভালো। স্কটিশদের ২৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলে জয় পাওয়া কঠিন হবে না। তবে ফিল্ডিং ভালো করতে হবে। ফিল্ডিং ভালো হলে বোলিং এমনিতেই ভালো হবে। তবে শুধু একটি বিভাগে ভালো করলেই হবে না। জিততে হলে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং প্রতিটি বিভাগেই ভালো করতে হবে।
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পেলে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা আমাদের দলের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস এই ম্যাচে তারা রান পাবে।
স্কটল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ বেশ ভালো। তাদের কয়েকজন বোলার কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে। তাদের বিপক্ষে সতর্ক হয়ে খেলতে হবে আমাদের ব্যাটসম্যানদের।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের ‘ক্যাসিনো-বিতর্ক’ নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হচ্ছে। তবে আমার মনে হয় না এটা দলের পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ম্যানেজারের দায়িত্ব দলের সদস্যদের ঠিক-মতো দেখা-শোনা করা। কিন্তু মাঠে খেলতে হয় ক্রিকেটারদের।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।