অস্ট্রেলিয়ার রান-পাহাড়ে আফগানিস্তান পিষ্ট
অবশেষে বিশ্বকাপে জ্বলে উঠলেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম দুই ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকার পর বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেললেন ১৩৩ বলে ১৭৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। এর সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৩৯ বলে ৮৮ এবং স্টিভেন স্মিথের ৯৮ বলে ৯৫ রানের সুবাদে ছয় উইকেটে ৪১৭ রান করে বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর আফগানদের ১৪২ রানে অলআউট করে ২৭৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এতদিন ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিপক্ষে ভারতের ৪১৩ রান ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল।
পার্থের ওয়াকায় টস হেরে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলীয়দের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দেন দাওলাত জাদরান।
তবে ১৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার ধাক্কা দলকে বুঝতেই দেননি ওয়ার্নার ও স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা গড়েছেন ২৬০ রানের জুটি। ওয়ানডেতে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সেরা জুটি। ১৯টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ৩৮তম ওভারে ফিরে আসেন ওয়ার্নার।
এরপর আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ‘ছেলেখেলা’ শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ইনিংস সাতটি ছক্কা ও ছয়টি চার সমৃদ্ধ। মাত্র পাঁচ রানের জন্য বিশ্বকাপে প্রথম শতকের দেখা না পাওয়া স্মিথের আক্ষেপজাগানো ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছক্কা।
জবাবে মিচেল জনসনের তোপে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান। নওরোজ মঙ্গল (৩৩) ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের (২৪) প্রতিরোধও আফগানদের দেড়শ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি। ২২ রানের জনসনের শিকার চার উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ৪১৭/৬ (ওয়ার্নার ১৭৮, ফিঞ্চ ৪, স্মিথ ৯৫, ম্যাক্সওয়েল ৮৮, ফকনার ৭, মার্শ ৮, হ্যাডিন ২০*; শাপুর ২/৮৯, দাওলাত ২/১০১, মঙ্গল ১/১৪, হামিদ ১/৭০)
আফগানিস্তান : ৩৭.৩ ওভারে ১৪২ (আহমাদি ১৩, গনি ১২, মঙ্গল ৩৩, স্তানিকজাই ৪, শেনওয়ারি ১৭, নবী ২, নাজিবুল্লাহ ২৪, জাজাই ১০, দাওলাত ০, হামিদ ৭, শাপুর ০*; জনসন ৪/২২, স্টার্ক ২/১৮, হেজেলউড ২/২৫, ক্লার্ক ১/১৪, ম্যাক্সওয়েল ১/২১)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ২৭৫ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : ডেভিড ওয়ার্নার।