সেঞ্চুরি না পেয়ে হতাশ তামিম
বেশ কিছু দিন ধরে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কারণ একটাই—ব্যাট হাতে ব্যর্থতা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর সব সমালোচনা বন্ধ হওয়ার কথা। তবে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারলেও একটা আক্ষেপে ঠিকই পুড়তে হচ্ছে তামিমকে। মাত্র পাঁচ রানের জন্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের গৌরব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই হতাশার কথা গোপন রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ওপেনার।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করতে নেমে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এলেও পাঁচ রানের দুঃখ ভুলতে পারছেন না তামিম, ‘আমি অবশ্যই হতাশ। যেভাবে ব্যাটিং করেছি তাতে সন্তুষ্ট হলেও দুর্ভাগ্যবশত সেঞ্চুরিটা হয়নি।’
এবারের বিশ্বকাপে আগের দুই ম্যাচে তামিমের রান ছিল ১৯ আর শূন্য। সামাজিক গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি হচ্ছিল। তিনি নিজেও এই ম্যাচের আগে চাপের মধ্যে থাকার কথা জানালেন। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের কীর্তি গড়ে তামিম এখন নির্ভার। কারো দুঃসময়ে সমালোচনা না করে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সমালোচনা তো হবেই। তা মেনেও নিতে হবে। তবে আমি মানসিকভাবে বেশ চাপের মধ্যে ছিলাম। আমি সবাইকে একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব। আমি কখনোই খারাপ খেলতে চাই না। দুঃসময়ে সবাই আমাকে সাহায্য করলে আমি অনেক উপকৃত হব।’
দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য অধিনায়ক মাশরাফিসহ সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তামিম, ‘প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে পারিনি। সেজন্য আমি কিছুটা চাপের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আমাকে সবাই যেভাবে সাহায্য করেছে তা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রান করতে না পারলে নানা ধরনের কথাবার্তা ওঠে। কিন্তু সবাই আমাকে যেভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, বিশেষ করে মাশরাফি ভাই- তাতে আমার অনেক উপকার হয়েছে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারেননি একটুর জন্য। তবে ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে দেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক এখন তামিম। এত দিন ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোহম্মদ আশরাফুলের ৮৭ রান ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ইনিংস। বৃহস্পতিবার একটা মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তামিম। সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪০০০ রান পূর্ণ করেছেন তিনি।