স্কয়ার ড্রাইভ
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয়
বোলারদের ব্যর্থতায় লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল। অথচ বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিন্দুমাত্র চাপ অনুভব করতে দেখিনি। একেবারে চাপমুক্ত হয়ে খেলে জয় তুলে নিয়েছে তামিম-সাকিবরা। এই জয়কে আমি বলব সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।
ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৩৯ রানের পার্টনারশিপ। সে সময় এই দুই ব্যাটসম্যান দৃঢ়তার সঙ্গে খেলতে না পারলে বাংলাদেশ এত সহজে জিততে পারত না।
তামিমের দুর্ভাগ্য, অনেক কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি পেল না। তবে তার ইনিংসটা দারুণ। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্বকাপে রানে ফিরেছে তামিম। এটা দলের জন্য ‘প্লাস পয়েন্ট’। তামিমের ইনিংসটা বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সেঞ্চুরি না পাওয়ায় সে হয়তো ব্যথিত, কিন্তু দল জিতেছে বলে তার দুঃখ না থাকারই কথা।
শুধু তামিম নয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান সবাই ভালো খেলেছে। তাই জয়টাও সহজ হয়েছে।
অবশ্য নেলসনের ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে সাড়ে ৩০০ রান পেরোনোও খুব কঠিন কিছু নয়। এমন উইকেটে বোলারদের তেমন কিছু করার থাকে না। তাই বাংলাদেশের বোলাররাও ব্যর্থ হয়েছে।
তবে এমন জয়ের আনন্দ কিছুটা হলেও ফিকে করে দিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের চোট। ফিল্ডিংয়ের সময় ডান কাঁধের চোট বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাকে।
স্কটল্যান্ডকে হারানোয় বাংলাদেশের সামনে এখন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার জোরালো সম্ভাবনা। আর একটা ম্যাচ জিততে পারলেই মাশরাফিদের শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যাবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।