গেইলের জন্য কী ফিল্ডিং সাজাবেন ধোনি?
ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হয়তো নন, তবে যেদিন ক্রিস গেইল জ্বলে ওঠেন সেদিন নাভিশ্বাস উঠে যায় প্রতিপক্ষ বোলারদের। বিশ্বকাপে সেটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডেতে পৌনে দুই বছর পর পাওয়া সেঞ্চুরিকে গেইল টেনে নিয়ে গেছেন ২১৫ পর্যন্ত! ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যানবেরায় ১৪৭ বলে খেলা ওই অসাধারণ ইনিংস দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। শুক্রবার পার্থে তাঁর দলের প্রতিপক্ষ গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় ওপেনারের বিপক্ষে কীভাবে ফিল্ডিং সাজাবেন, তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ধোনি।
ভারতের বিপক্ষে গেইলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো নয়। গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে একবারও ফিফটি করতে পারেননি। সেঞ্চুরি করেছিলেন সেই ২০০৬ সালে। এবারও কি ভারতের বিপক্ষে গেইল ব্যর্থ হবেন? প্রশ্নটাকে পাত্তা না দিয়ে ধোনি জানালেন, গেইলের বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু হয়ে গেলে বরং ফিল্ডিং সাজানোই কঠিন হয়ে পড়বে তাঁর জন্য, ‘কেউ যদি একের পর এক ছক্কা মারে তাহলে সেটা ঠেকানোর জন্য আপনি কোনো ফিল্ডিং সাজাতে পারবেন না। এখানে খুব কমই করার থাকে। কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও করা যায় না।’
অবশ্য গেইলের অধারাবাহিকতা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে ধোনিকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৫ রান করে হৈ-চৈ ফেললেও তার পরের ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র তিন রান করে আউট হয়ে গেছেন গেইল।
‘বি’ গ্রুপে টানা তিন ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে ভারত। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালে ‘টিম ইন্ডিয়া’র শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতকে হারাতেই হবে ক্যারিবীয়দের।
এই গ্রুপে আপাতত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ চার পয়েন্ট করে। আয়ারল্যান্ড অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে।