ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান
টানা দুই ম্যাচ হেরে বাজেভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। পরের দুই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় মিসবাহর দল। শনিবার অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ব্যাটসম্যানদের ছন্দহীনতা সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে পাকিস্তানকে।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে গেছেন পাকিস্তানের নিয়মিত ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। তাঁর জায়গায় সুযোগ পাওয়া নাসির জামশেদের তিন ম্যাচে অবদান শূন্য, এক ও চার রান। পাকিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খানও ব্যর্থ। প্রথম দুই ম্যাচে ছয় ও শূন্য রানে আউট হওয়া ইউনিস পরের দুই ম্যাচে একাদশেই সুযোগ পাননি।
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা মিডল অর্ডারের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের সাবেক দুই তারকা রমিজ রাজা ও জাভেদ মিয়াঁদাদ তাই ব্যাটিং অর্ডার একটু ভিন্নভাবে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন মিসবাহকে। তবে দুই পূর্বসূরির এমন পরামর্শে ভীষণ ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, ‘ভিন্নভাবে সাজাব মানে? আমরা কি ইরফানকে দিয়ে ওপেন করাব নাকি?’ ইরফান মানে দীর্ঘদেহী বাঁহাতি পেসার মোহম্মদ ইরফান, যিনি ব্যাট করতে নামেন ১১ নম্বরে!
রাগ করে ইরফানের কথা বললেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অন্যভাবে ব্যাটিং অর্ডার সাজানোর চিন্তা করছেন মিসবাহ। শনিবার ওপেনার হিসেবে সরফরাজ আহমেদকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। গত অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজে ওপেনার হিসেবে ৩৪, ৬৫ ও ৩২ রান করেছিলেন সরফরাজ।
দারুণ ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও সমস্যায় ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। আগের দুই ম্যাচেই চারশর ওপরে রান করা প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বোলারদের নিয়ে অবশ্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মিসবাহ, ‘আমার মনে হয় আমাদের বোলাররা সত্যিই ভালো করছে। যে কোনো দলের বিপক্ষে তাদের সাফল্যের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছি। তাই তাদের ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন ভালোমতোই জানি। আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমাদের বোলাররা তাদের চাপের মধ্যে ফেলতে পারবে।’