স্কয়ার ড্রাইভ
১৯৯২ বিশ্বকাপ মনে করাচ্ছে পাকিস্তান
১৯৯২ বিশ্বকাপে এমন দেখেছিলাম। একসময় বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে যাওয়া পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও যেন সেভাবে এগোচ্ছে তারা। বিশ্বকাপের শুরুতে খারাপ অবস্থায় থাকলেও ধীরে ধীরে উন্নতি করছে মিসবাহর দল। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই তা প্রমাণিত। অসাধারণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পেসারদের তোপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকে নিখুঁত লাইন-লেংথে বল করে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের উইকেট দিতে বাধ্য করেছে। তিন বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইরফান, রাহাত আলী ও ওয়াহাব রিয়াজ দারুণ বল করেছে।
তবে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা প্রাপ্য উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদের। বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই ছয়টি ক্যাচ ধরে দলের জয়ে বিশাল অবদান রেখেছেন তিনি। পাকিস্তানের ফিল্ডিংও অনেক ভালো হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে পাকিস্তান অনেক দূর যেতে পারবে। সেই সামর্থ্য দলটির আছে।
রান তাড়া করায় দক্ষিণ আফ্রিকার যে ‘চিরন্তন’ দুর্বলতা, তা আরেকবার প্রমাণিত। লক্ষ্য তেমন বড় না হলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে এসেছে তারা। চাপের মুখে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৭৭ রানের ইনিংসটা দারুণ।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হারের জন্য ডি ভিলিয়ার্সকেই দায়ী করব আমি। সে সময় সোহেল খানকে অযথা মারতে না গেলে হয়তো আউট হতেন না তিনি। ডি ভিলিয়ার্সের বিদায়ে প্রোটিয়াদের জয়ের আশা শেষ হয়ে গেছে। তিনি সে সময় একটু ধৈর্যের সঙ্গে খেলতে পারলে জিতেও যেতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।