টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেরা দশে রুবেল-মুস্তাফিজ
২০১৫ সাল বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের জন্য। একের পর এক দুর্দান্ত সাফল্যের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ জাগানিয়া শক্তি হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তরুণ এই বাঁ-হাতি ওপেনারের নাম আছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেরা ১০ বোলিং পারফরম্যান্সের মধ্যেও। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে রুবেল হোসেনও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
২০১৫ সালের জুনে অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতকে নাকাল করেছিলেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশ পেয়েছিল ৭৯ রানের সহজ জয়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুস্তাফিজ হয়ে উঠেছিলেন আরো বিধ্বংসী। ছয়টি উইকেট নিয়ে ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ২০০ রানে। মুস্তাফিজের কাটারে বিধ্বস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল। ১০ ওভার বল করে ৪৩ রানের বিনিময়ে এই ছয়টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ছয় উইকেটে। মুস্তাফিজের এই বোলিং ফিগারটিই আছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেরা ১০ বোলিংয়ের তালিকায়।
বাংলাদেশের আরেক পেসার রুবেল টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে। অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর দারুণ শতক ও মুশফিকুর রহিমের ৮৯ রানের ইনিংসের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২৭৫ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখেন রুবেল। ৬৩ রান করে ক্রমশই বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন ইংলিশ ওপেনার ইয়ান বেল। কিন্তু ২৭তম ওভারে ইংল্যান্ডকে জোড়া ধাক্কা দিয়ে রুবেল তুলে নেন বেল ও অধিনায়ক ওয়েন মরগানের উইকেট। নিজের শেষ ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসনকে আউট করে ইংল্যান্ডকে ২৬০ রানে গুটিয়ে দেন রুবেল। ১৫ রানের জয় দিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ৯.৩ ওভার বল করে ৫৩ রানের বিনিময়ে রুবেল নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সেরা ১০ বোলিং ফিগারের মধ্যে মুস্তাফিজ ও রুবেল ছাড়াও আছেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল স্টার্ক, ইমরান তাহির, কাগিসো রাবাদা, মিচেল ম্যাকক্লেগান, মরনে মরকেল ও মিচেল মার্শ।