স্কয়ার ড্রাইভ
ইংল্যান্ডকে হারানো অসম্ভব নয়
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই শেষ আটে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে ইংল্যান্ডের মতো একটি ‘ম্যাচিওরড’ দলকে হারানো মাশরাফি-সাকিবদের জন্য কঠিন হবে।
গত ম্যাচে ৩১৮ রান তাড়া করে জিতে বাংলাদেশ দল এখন উজ্জীবিত। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে জয় পাওয়া অসম্ভব হবে না।
তা ছাড়া ইংল্যান্ড বেশ চাপের মধ্যে আছে। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরে গেছে তারা। প্রতিপক্ষের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারলে জিতেও যেতে পারে মাশরাফিরা।
যদিও শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ইংল্যান্ড অনেকখানি এগিয়ে আছে। জিততে হলে খুবই ভালো খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রতিটি বিভাগেই নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিতে হবে। নইলে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারানো সম্ভব হবে না।
চোটের কারণে এনামুল হক বিজয়ের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক ঘটনা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে ‘সেট’ হয়ে গিয়েছিল বিজয়। তার জায়গায় ইমরুল কায়েস হয়তো খেলবে। ইমরুল ভালো ব্যাটসম্যান। কিন্তু লম্বা জার্নির ধকল কাটিয়ে উঠে ভালো খেলতে পারবে কি না তা বলা একটু মুশকিল। আশা করি সুযোগ পেলে ভালো খেলবে ইমরুল।
প্রথম একাদশে একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কারো চাপে পড়ে কোনো খেলোয়াড় দলে নেওয়া খুব একটা ভালো হবে না। আমার পরামর্শ, এটাকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়াই উচিত। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করলে একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নেওয়া যেতেই পারে।
বাংলাদেশ দলে দুজন স্পেশালিস্ট স্পিনার আছে—আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলাম। দুজনই বাঁ-হাতি স্পিনার এবং দুজনই ভালো। তবে দল যাকে ভালো মনে করবে তাঁকেই নেবে।
অ্যাডিলেড ওভালে এই প্রথম খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আশা করছি এই বিখ্যাত মাঠে বাংলাদেশের প্রথম অভিজ্ঞতা ভালোই হবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।