মালয়েশিয়াকে হারানোর স্বপ্ন ক্রুইফের
শক্তি-সামর্থ্যে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবু মালয়েশিয়াকে হারানোর স্বপ্নে বিভোর লোডভিক ডি ক্রুইফ। জাতীয় ফুটবল দলের ডাচ কোচের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে গ্রুপের দুটো ম্যাচ জিতেই সেমিফাইনালে খেলবে তাঁর দল।
রোববার বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পাওয়া গেল আত্মবিশ্বাসী ক্রুইফকে, ‘নিজেদের মাটিতে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অবশ্যই টুর্নামেন্টটি মর্যাদার। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি ম্যাচ জেতা। আর তা হলে অবশ্যই আমরা সেমিফাইনালে খেলব।’
‘মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠাচ্ছে এই আসরে। তারপরও আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে ভালো দল তারাই। কিন্তু তাদের হারানো অসম্ভব নয়। মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই আমরা সেমিফাইনালে খেলতে চাই।’
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনেক দিন থাকায় শিষ্যদের ওপরে অগাধ আস্থা ক্রুইফের, ‘গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দল এখন একটা ভালো অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে, যখন আমি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে প্রথম যোগ দিয়েছিলাম। এশিয়ান র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ যে এগিয়েছে, তা আমাদের সবার প্রচেষ্টার ফল।’
‘দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় আমার পরিচিত। তারা মেধাবী ফুটবলারও বটে। তাদের ওপর আস্থা রাখা যায়। শনিবার প্রথম দিনের অনুশীলন দেখে আমার মনে হয়েছে দল মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় আছে। টুর্নামেন্টে আমরা ভালো করব বলেই আমার বিশ্বাস।’
ডাচ কোচকে ফিরে পেয়ে খেলোয়াড়রাও খুব খুশি। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কণ্ঠে সেই আনন্দ ধরাও পড়ল, ‘ক্রুইফ ফিরে আসায় আমাদের মানসিক শক্তি অনেকখানি বেড়ে গেছে। শনিবারের কোচিংয়ে খেলোয়াড়দের বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। যেটা টুর্নামেন্টে ভালোই কাজে আসবে।’
২০১৩ সালের ১ জুলাই ক্রুইফকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিল বাফুফে। কিন্তু বেতন-ভাতা দিতে সমস্যা হওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় শুধু বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ক্রুইফকে।
তিন মাস আগের বিদায়টা মধুর তো হয়ইনি, বরং ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতাই বলা যায়। তবু দুজন মানুষের ভালোবাসার আহ্বান উপেক্ষা করতে পারেননি ক্রুইফ। সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের কথা জানিয়ে বললেন, ‘বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং জাতীয় দল কমিটির সদস্য ও বাফুফে সহসভাপতি তাবিথ আউয়ালের জন্য আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। তাঁদের অনুরোধ আমি ফিরিয়ে দিতে পারিনি।’
২৯ জানুয়ারি সিলেটে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া। ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়তে হবে ক্রুইফ-শিষ্যদের।