শুরুতে তামিমের সঙ্গী ইমরুল?
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ বৃষ্টিতে হতে দেয়নি। বিশ্বকাপের বাকি তিন ম্যাচে ব্যাটিং ভালোই হয়েছে মাশরাফির দলের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তো ৩১৮ রান তাড়া করে জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে উদ্বোধনী জুটির ব্যর্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। সাফল্যের আশায় ইমরুল কায়েসকে সোমবার তামিম ইকবালের ওপেনিং-সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথায় তেমনই ইঙ্গিত।
আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিম ইকবাল-এনামুল হকের উদ্বোধনী জুটির অবদান ৪৭ ও ০ রান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে চোট পাওয়ায় ব্যাটিং করতে পারেননি এনামুল। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামা সৌম্য সরকার একদমই ব্যর্থ। তামিম-সৌম্যর উদ্বোধনী জুটি ভেঙে গেছে মাত্র পাঁচ রানে।
যেহেতু ইমরুল একজন ওপেনার, তাই সোমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে তাঁকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ প্রসঙ্গে মাশরাফির বক্তব্য, ‘ইমরুল অনুশীলন করেছে। আর অনুশীলনে ভালোই করেছে। অবশ্যই ওর খেলার সুযোগ আছে। আমি আশা করব সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলবে। ওর জন্য এটা খুব ভালো একটা সুযোগ। কারণ সে বিশ্বকাপ দলেই ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে সুযোগটা পেয়েছে। বিশ্বকাপেও যে ভালো খেলার সামর্থ্য আছে, তা দেখানোর দারুণ সুযোগ ইমরুলের সামনে।’
বিশ্বকাপে ভালো খেলার সামর্থ্য যে আছে, তার প্রমাণ চার বছর আগে রেখেছিলেন ইমরুল। গত বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে দুটি ফিফটিসহ ১৮৮ রান করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে ইংল্যান্ডকে নাটকীয়ভাবে দুই উইকেটে হারানো ম্যাচে ৬০ রান করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
এবারও সুযোগ পেলে ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিলেন ইমরুল, ‘আমি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সব সময়ই ভালো খেলেছি। সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। কোচ আমাকে বলেছেন, শুরুতে সোজা ব্যাটে খেলতে। তাই আমার জন্য কাজটা অনেক সহজও হবে।’
ইমরুলের কথা ভুল নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাতটি ওয়ানডে খেলে তিনটি ফিফটিসহ ২৪৯ রান করেছেন তিনি।