শেষ আটের স্বপ্ন পূরণ হবে তো?
এবারের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই একটা ‘মন্ত্র’ জপ করছিল বাংলাদেশ। সেই ‘মন্ত্র’র নাম কোয়ার্টার ফাইনাল! অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ডের গ্রুপে সেরা চার দলে থেকে শেষ আটে ওঠা যে ভীষণ কঠিন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বাংলাদেশ সেই কঠিন লক্ষ্যপূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এখন। সোমবার অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই মাশরাফির দল পেয়ে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-বধের অন্যতম নায়ক ইমরুল কায়েস দলে যোগ দেওয়ায় ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’র আশা জোরালো হয়েছে বাংলাদেশের। চার বছর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই উইকেটের নাটকীয় জয়ে ইমরুলের ৬০ রানের বিশাল অবদান ছিল। সোমবার তামিমের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে ইমরুলকে দেখা যেতে পারে। এই সিদ্ধান্ত উদ্বোধনী জুটি নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অবসানও ঘটাতে পারে।
এমনিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের তেমন দুশ্চিন্তা নেই। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমানদের দৃঢ়তায় আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ এখন কোয়ার্টার ফাইনালের পথে। দুঃসময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে তামিমও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
ব্যাটিং নিয়ে নির্ভার থাকলেও বোলিং নিয়ে মাশরাফির দলের দুশ্চিন্তা কাটছেই না। সর্বশেষ দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও স্কটল্যান্ড ৩৩২ ও ৩১৮ রান করে বাংলাদেশের বোলিং-দুর্বলতাকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
আগের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ দলে কোনো স্পেশালিস্ট স্পিনার দেখা যায়নি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একজন স্পেশালিস্ট স্পিনারকে রাখার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের বাড়তি স্পিনার খেলানোর সুযোগ আছে। আমরা এমন একটা একাদশ সাজানোর চেষ্টা করব, যেটা ইংল্যান্ডকে সমস্যায় ফেলতে পারে।’
শক্তি-সামর্থ্যে হয়তো পিছিয়ে, তবে মানসিকভাবে ইংল্যান্ডের চেয়ে এখন এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে সোমবার জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার কাছে বিধ্বস্ত ইংলিশ ক্রিকেটাররা যে কিছুটা চাপের মধ্যে আছে, তা গোপন করেননি পিটার মুরস। তবে সেই চাপ সামলে শিষ্যরা ঘুরে দাঁড়াবে বলেই বিশ্বাস ইংল্যান্ড কোচের, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হলে শক্ত মানসিকতার অধিকারী হতে হয়। এ ব্যাপারে কোনো আপস হতে পারে না। এখানে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে চাপ সামলে সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সামলানোই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’