স্কয়ার ড্রাইভ
মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিং
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম যেভাবে খেলছিল, তাতে ভেবেছিলাম বাংলাদেশ তিন শতাধিক রান করবে। তারপরও ২৭৫ রান ‘ফাইটিং স্কোর’। বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বল করতে পারলে এই রান নিয়ে জয় পাওয়া সম্ভব।
অসাধারণ খেলেছে মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য তার। মাত্র আট রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করেছে।
তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর ৮৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিয়েছে। আর পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ১৪১ রানের রেকর্ড জুটি দলকে পৌনে তিন শ পর্যন্ত নিয়ে গেছে। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্যই ইংল্যান্ডকে বড় টার্গেট দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পর মুশফিকের ৮৯ রানের ইনিংসটিও দুর্দান্ত। মুশফিকও সেঞ্চুরি পেলে আরো ভালো লাগত।
এই দুজনের একজন শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে বাংলাদেশের সংগ্রহ আরো বড় হতে পারত। শেষ দিকে কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় রান তোলার গতি কমে যায়।
এখন বোলারদের কাজ হচ্ছে প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যে দুটি উইকেট তুলে নেওয়া। তাহলেই ইংল্যান্ড চাপে পড়ে যাবে। আর বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।