হতাশার হারে সমতায় সিরিজ
১৮১ রানের লক্ষ্য বেশ কঠিন। তার ওপরে মাত্র ১৭ রানেই চার-চারটি উইকেটের পতন। বাংলাদেশের জয়ের আশা তখনই ফিকে হয়ে গিয়েছিল অনেকখানি। তারপরও মাহমুদউল্লাহর লড়াকু ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছিল স্বাগতিকদের। তবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজ জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে পারেনি মাশরাফির দল, শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৮ রানে হেরে গেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। চার ম্যাচের সিরিজ তাই শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।
শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল বাংলাদেশের। ছয় বলে ১১ রান করে ভালো সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু আশা জাগালেও নেভিল মাদজিভার করা দ্বিতীয় ওভারে কট বিহাইন্ড যান এই বাঁহাতি ওপেনার। এক ম্যাচ বিরতির পর দলে ফেরা তামিম ইকবালও মাত্র এক রান করে বোল্ড হয়ে গেছেন দ্বিতীয় ওভারেই।
তৃতীয় ওভারে আবার বাংলাদেশের জন্য জোড়া ধাক্কা। এবার ‘ঘাতক’ টেন্ডাই চিসোরো। তৃতীয় ওভারে তিনি তুলে নিয়েছেন দারুণ ছন্দে থাকা সাব্বির রহমান (১) আর সাকিব আল হাসানের (৪) উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সপ্তম ওভারে ইমরুলকে (১৮) আউট করে বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন সিকান্দার রাজা।
৫৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যাওয়ার পর ভালোই লড়াই চালিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁরা গড়েছেন ৫৭ রানের জুটি। ১৪তম ওভারে নুরুল ফিরে যান ১৫ রান করে। আর ১৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ ৪১ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৪ রান করে আউট হয়ে গেলে জয়ের আশা প্রায় শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি (২২) আর আবু হায়দার (১৪) চেষ্টা করলেও হার ঠেকাতে পারেননি। এক ওভার বাকি থাকতে ১৬২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
৩৪ রানে চার উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সফলতম বোলার মাদজিভা। চার ওভার বল করে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন চিসোরো।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৫৮ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে চার উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ম্যাচ আর সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মাসাকাদজাই। সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান।