প্রোটিয়াদের উড়িয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সূচনা
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সও ছিল যথেষ্ট ভালো। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই গতবারের শিরোপাজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ায় হয়তো জয়ের ব্যাপারে কিছুটা সংশয়ে ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে সব সংশয়-সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছেন মিরাজ-শান্তরা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪৩ রানের দারুণ জয় দিয়ে শুরু করেছেন বিশ্বকাপ মিশন। ২৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯৭ রানেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের ভালো নৈপুণ্যের সামনে প্রায় একাই লড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লিয়াম স্মিথ। খেলেছেন ১৪৬ বলে ১০০ রানের ইনিংস। তাঁর পরে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল মাত্র ২২ রানের। ডায়ান গালিয়েমের। বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে ব্যাট হাতে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলার জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
অফস্পিন দিয়ে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের সূচনা করেছিলেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ওভারে তিনি কোনো রান দেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই পেয়েছেন সাফল্য। আউট করেছেন এক রান করা কাইল ভেরেনকে। নবম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইয়ান মুলডারকে (৮) বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৫তম ওভারে আবার সাইফুদ্দিনের আঘাত। প্রোটিয়াদের অধিনায়ক টনি ডি জর্জিকেও (৮) বোল্ড করেছেন এই ডানহাতি পেসার। ২১তম ওভারে বাংলাদেশ চতুর্থ সাফল্য পেয়েছে অফস্পিনার সাইদ সরকারের সুবাদে। তাঁর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন রিভালদো মুনসামি (৫)। পঞ্চম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও খুব বেশি সফল হতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। ৩৪তম ওভারে ডায়ান গালিয়েমকে আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছেন সাইদ সরকার। ৪২তম ওভারে ১৭ রান করা ফারহান সায়ানভালাকে আউট করে জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেন মিরাজ। শেষপর্যায়ে শেন হোয়াইটহেডের ১৩ রান প্রোটিয়াদের হারের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছে।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৩, জয়রাজ শেখের ৪৬, পিনাক ঘোষের ৪৩ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৪০ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান।