মাহমুদউল্লাহর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও শতক করে মাহমুদউল্লাহ এখন ইতিহাসের পাতায়! এতদিন ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ছিল না। ইংল্যান্ড ম্যাচে সেই অপ্রাপ্তি ঘোচানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আনন্দে বিভোর মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে ১০৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও শুক্রবার তাঁকে কেউ আউট করতে পারেনি। তাঁর অপরাজিত ১২৮ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ২৮৮ রান করেছে বাংলাদেশ। ১২৩ বলের অসাধারণ ইনিংসটা সাজানো ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৩) ও ইমরুল কায়েসকে (২) হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৯০ রানের জুটিতে দলকে আর দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি।
২৮তম ওভারে ড্যানিয়েল ভেট্টরির বলে কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া সৌম্যর ৫৮ বলে ৫১ রানের দৃঢ়তাভরা ইনিংসে ৭টি চার।
মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা সাকিব আল হাসান উইকেটে এসেই শুরু করেন আক্রমণ। কিন্তু ১৮ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৩ রান করার পর অ্যান্ডারসনের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
আগের ম্যাচে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফিরে গেছেন ১৫ রান করে। তবে ৪০তম ওভারে মুশফিকের বিদায়ে ১৮২/৫-এ পরিণত বাংলাদেশকে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের ঝড়ো ব্যাটিং। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৪৮ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। ২৩ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় সাব্বিরের অবদান ৪০ রান।
মাশরাফি ছাড়াও আরাফাত সানি খেলছেন না নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দলে ফিরেছেন নাসির হোসেন। আর বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে সানির জায়গায় সুযোগ পাওয়া আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৮৮/৭ (তামিম ১৩, ইমরুল ২, সৌম্য ৫১, মাহমুদউল্লাহ ১২৮*, সাকিব ২৩, মুশফিক ১৫, সাব্বির ৪০, নাসির ১১, রুবেল ০*; এলিয়ট ২/২৭, অ্যান্ডারসন ২/৪৩, বোল্ট ২/৫৬, ভেট্টরি ১/৪২)।