টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারের মাথায় হেলমেট!
কয়েক দিন আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার একটি ওয়ানডে ম্যাচে হেলমেট পরে মাঠে নেমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার জন ওয়ার্ড। নিজের নিরাপত্তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আইসিসিও আম্পায়ারদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিলে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের হেলমেট পরার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আসলে অতীতের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা ওয়ার্ডকে হেলমেট পরার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিল। গত ডিসেম্বরে ভারতের রঞ্জি ট্রফির একটি ম্যাচ পরিচালনার সময় মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল এই অস্ট্রেলীয় আম্পায়ারকে। তাই গত ২০ জানুয়ারি ক্যানবেরার মানুকা ওভালে হেলমেট পরে খেলা পরিচালনা করেছিলেন ওয়ার্ড। তবে সেদিন তিনি কোনো ‘দুর্ঘটনা’য় না পড়লেও তাঁর সঙ্গী আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো ব্যাটসম্যানের শটে পায়ে ব্যথা পেয়েছিলেন।
অভিজ্ঞতা বেশ টাটকা বলে ইংলিশ আম্পায়ার কেটেলবরো হেলমেট পরে খেলা পরিচালনা করার পক্ষপাতী। অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘গত তিন-চার বছরে খেলোয়াড়দের ফিটনেস আর শক্তি নাটকীয়ভাবে অনেক বেড়েছে। আগের চেয়ে ব্যাটের মানও অনেক ভালো হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা তাই আগের চেয়ে অনেক জোরে বল মারতে পারছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কয়েকজন আম্পায়ারকে আঘাত পেতে দেখেছি। বিশেষ করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিন-দিন বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই হেলমেট পরার চিন্তা-ভাবনা করছেন কেটেলবরো, ‘আমি জানি যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের হেলমেট পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমরা যে হেলমেট পরতে বাধ্য, ব্যাপারটা তা নয়। এটা পুরোপুরি আমাদের ওপরে নির্ভর করছে। তবে এ ব্যাপারে আমি গুরুত্বের সঙ্গেই চিন্তা-ভাবনা করছি।’ শুধু আম্পায়ার নন, বোলার আর নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটসম্যানের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি চিন্তিত, ‘নন-স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান আর ফলো-থ্রুতে থাকা বোলারকেও যে বিপদে থাকতে হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আসলে মুহূর্তের মধ্যে যে কেউই বাজেভাবে আঘাত পেতে পারে।’