২০০২-এর স্মৃতি ফেরাতে চায় না বাংলাদেশ
যুব বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ হলেই বাংলাদেশের নিশ্চয়ই মনে পড়ে যাবে ২০০২ সালের কথা। বাংলাদেশ তখন নবীন টেস্ট খেলুড়ে দেশ। অথচ সে দেশের যুব দলকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল নেপাল।
দীর্ঘদিন পর সেই পুরনো স্মৃতি আবার জেগে উঠবে মিরাজদের সামনে। এবার ঘরের মাঠে যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সেই নেপালের মুখোমুখি হবেন তাঁরা। অবশ্য সেই স্মৃতি এখন আর ফেরাতে চায় না বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা।
সেবার বাংলাদেশের মতো দলকে হারালেও খুব বেশি দূর যেতে পারেনি নেপাল। কিন্তু এবার তারা বেশি দুর্বার। গ্রুপ পর্বে দারুণ সাফল্য পেয়ে উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। শুধু তাই নয়, প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে দিয়েছে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে একেবারেই বিধ্বস্ত করে পরবর্তী পর্বে খেলা নিশ্চিত করে নেপাল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে তা খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের জন্য কতটা হুমকি হতে পারে এই নেপাল। তারা কি পারবে ২০০২ সালের মতো আরেকটি অঘটন ঘটাতে? নেপালের সহ-অধিনায়ক আরিফ শেখ প্রেরণা খুঁজছেন ২০০২ সালের সেই জয় থেকে। তিনি বলেন, ‘আমরা মুখিয়ে আছি বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতে। একবার যখন তাদের হারাতে পেরেছি, এবারও পারব বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের জন্য প্রেরণা হতে পারে ২০০২ সালের জয়টি। সেবার যুব বিশ্বকাপের প্লেট পর্বে তাদের বিপক্ষে জয় পেয়েছিলাম আমরা।’
প্রত্যয়ী নেপালকে নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও। তিনি বলেন, ‘নেপালের এই দলকে মোটেও হালকাভবে নিচ্ছি না আমরা। কারণ এই দলটি বেশি শক্তিশালী। তা বলতে দ্বিধা নেই। তাই এখন থেকেই তাদের নিয়ে আমরা বেশ সতর্ক। তবে ২০০২ সালের কথা বারবার উঠে আসলেও পুরোনো কথা আর মনে করতে চাই না আমরা।’
২০০২ সালে বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়েছিল নেপাল। নেপালের করা ১৮০ রানের জবাবে ১৫৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অথচ সেবার বাংলাদেশ পক্ষে খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশারাফুল, নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদ ও সৈয়দ রাসেলের মতো ক্রিকেটাররা, যাঁরা পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।