সেই মিরাজই ব্যতিক্রম
কখনো ব্যাট হাতে, আবার কখনো বল হাতে বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। চলমান যুব বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা যখন একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন, ঠিক তখনই তিনি ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মিরাজের করা ৭৪ বলে ৬০ রানের অসাধারণ ইনিংসটিই বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে। ক্যারিবীয় পেস অ্যাটাকের সামনে দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন মাথা নিচু করে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছেন, তখন তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন।
শুধু এদিনই নয়, প্রতিটি ম্যাচেই দলের পারফরমারদের মধ্যে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের কথাই ধরা যাক। প্রথমে ব্যাট হাতে ২৩ রান করেছেন। ইনিংসটাকে বড় করতে না পারলেও বল হতে ঠিকই পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। ৩৭ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচে আরো উজ্জ্বল তাঁর ব্যাট। প্রথমে অর্ধশতক করেছেন, ৪৯ বলে ৫১ রান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে দলের জয়ে ২৭ রানে একটি উইকেটও তিনি নিয়েছেন।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে মাত্র ৬৫ রানে গুটিয়ে দিতে বল হাতে তাঁর দারুণ ভূমিকা ছিল। মাত্র ১২ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। অবশ্য সে ম্যাচে তাঁর ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি।
নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও দারুণ সাফল্য এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। প্রতিপক্ষের ২১১ রান টপকাতে যখন দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন, তখন তিনি ৫৫ রানের হার-না-মানা একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। সেমিফাইনালেও দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তিনি ব্যতিক্রমী ভূমিকায় ছিলেন।