পিএসএলে সাকিব-তামিমের ভিন্ন অভিজ্ঞতা
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং-দক্ষতার জন্যও আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কয়েক দিন আগেও টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি তিন ধরনের ক্রিকেটের অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন। অথচ সেই সাকিব আল হাসানই কি না পুরো ম্যাচে একটাও বল করার সুযোগ পাননি! পিএসএলে তাঁর দল করাচি কিংস অবশ্য জিতেছে। জিতেছে তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমিও। ৮০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে পেশোয়ারের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তামিমেরই।
সাকিব-তামিম পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাটির শুরু থেকে খেললেও মুশফিকুর রহিম একটু দেরিতেই মাঠে নামলেন। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের পিএসএল অভিষেক অবশ্য জয় দিয়েই হয়েছে। করাচি কিংসের জয়ে মুশফিকের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে করাচি ২৭ রানে হারিয়েছে লাহোর ক্যালান্ডার্সকে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা করাচিকে পাঁচ উইকেটে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ এনে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রবি বোপারার। দারুণ ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার ৪৩ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দুই ওপেনার নোমান আনওয়ার ৩৫ আর শোয়েব মালিকও ২৭ রানের দুটো ভালো ইনিংস খেলেছেন। সাকিব অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি, ৯ বলে ৯ রান করেছেন। ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
জবাবে ক্রিস গেইল (৩৭) আর ক্যামেরন ডেলপোর্টের (৫৫) ৯৮ রানের দারুণ উদ্বোধনী জুটিও জয় এনে দিতে পারেনি লাহোরকে। ৮ উইকেটে ১৫১ রানে থেমে গেছে তারা। উইকেটরক্ষণের দায়িত্বে থাকা মুশফিক গেইলের ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ডেলপোর্টকেও স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেছেন।
দুর্দান্ত বোলিং করে মাত্র ১৬ রানে ছয় উইকেট নিয়ে করাচির জয়ের নায়ক বোপারা। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে তাই তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না।
একই মাঠে পরের ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পেশোয়ার। টস হেরে ব্যাট করতে নামা ইসলামাবাদকে ছয় উইকেটে ১৫২ রান এনে দিয়েছে খালিদ লতিফ (৫৯), অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক (৩২) আর শারজিল খানের (২৮) তিনটি ভালো ইনিংস। জবাবে তামিমের অপরাজিত ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে পেশোয়ারকে। ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কাসমৃদ্ধ ৫৮ বলের ইনিংসটি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও এনে দিয়েছে তামিমকে।