অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক যুগ পর সেই বাংলাদেশেই আক্ষেপ ঘোচাল ক্যারিবিয়ানরা। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জিতল যুব বিশ্বকাপের শিরোপা।
ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না। শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৪৬ রান। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতেই বেশ কষ্ট করতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। ২৯ ওভারের মধ্যে মাত্র ৭৭ রান সংগ্রহ করতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদেই জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন কেমো পল ও কেসি কার্টি। ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন পল। কার্টির ব্যাট থেকে এসেছে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস।
শিরোপা জয়ের জন্য ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইন্ডিজ হারিয়েছিল ওপেনার গিড্রন পোপের (৩) উইকেট। ২০ বলে ১৫ রান করে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার তেভিন ইমলাচ। কিন্তু অষ্টম ওভারে তাঁকে সাজঘরমুখী করেছেন ভারতের বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ। এর পর থেকে রানের চাকা ঘোরাতেও বেশ কষ্ট করতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের ধীরস্থির জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক শিমরন হেটমেয়ার ও কার্টি। কিন্তু খুব অল্প সময়েই তিনটি উইকেট হারিয়ে আবার চাপের মুখে পড়েছিল উইন্ডিজ। ২ উইকেটে ৬৭ থেকে কয়েক ওভারের মধ্যে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৭ রান। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিরাপদেই জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন কার্টি ও পল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলের পক্ষে প্রায় একাই লড়াই চালিয়েছেন সরফরাজ খান। তিনি ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটসম্যান পেরোতে পেরেছেন দুই অঙ্কের কোটা। মাহিপাল লোমরোর (১৯) ও রাহুল বাথাম (২১)। ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
এবারের যুব বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে শিরোপা জিততে পারবে তা হয়তো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউই কল্পনা করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ মিশন শুরুই হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিতর্কিত এক রানআউটের আশ্রয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ ক্রিকেটাররা। এর পর কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তান ও সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে খেলেছেন তাঁরা।