ইতিহাস গড়লেন জোকোভিচ
ফাইনালে প্রথম দুই সেটে ছিল টানটান উত্তেজনা। দুটি সেটই গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। প্রথমটি জিতেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। দ্বিতীয়টি অ্যান্ডি মারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পরের দুই সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি জোকোভিচ। পৌনে চার ঘণ্টা দীর্ঘ লড়াই ৭-৬ (৭/৫), ৬-৭ (৪/৭), ৬-৩, ৬-০ গেমে জিতে ইতিহাসও গড়েছেন তিনি। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শিরোপা জিতে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন এই সার্বিয়ান তারকা।
১৯৬৮ সালে উন্মুক্ত যুগ শুরু হওয়ার পর বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে চারটি শিরোপা জিতেছেন রজার ফেদেরার আর আন্দ্রে আগাসিরও। এতদিন এই কীর্তি দুই কিংবদন্তির সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিলেন জোকোভিচ। তবে রোববার থেকে ‘রেকর্ড’টা শুধুই টেনিস সার্কিটে ‘জোকার’ নামে পরিচিত জোকোভিচের। একমাত্র রয় এমারসন তাঁর চেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি ষাটের দশকে জিতেছিলেন ছয়টি শিরোপা।
উন্মুক্ত যুগে টানা তিনটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের কীর্তি আগেই গড়েছিলেন জোকোভিচ। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার জিতেছিলেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের শিরোপা। ২০১৪ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর এবার মেলবোর্ন পার্কে শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করলেন টেনিস র্যাংকিংয়ে থাকা এক নম্বর খেলোয়াড়।
ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল মারের সামনেও। ফাইনালে জিততে পারলে উন্মুক্ত যুগে প্রথম ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিততেন তিনি। ২০১২ সালের ইউএস ওপেন ও ২০১৩ সালের উইম্বলডন শিরোপা জয়ের পথে দুবারই জোকোভিচকে ফাইনালে হারিয়েছিলেন মারে। কিন্তু এবার আর সফল হতে পারলেন না। চতুর্থবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল থেকে হতাশ হয়ে ফিরতে হলো এই ব্রিটিশ তারকাকে। ২০১১ ও ২০১৩ সালেও ফাইনালে জোকোভিচের কাছে হেরেছিলেন মারে।