জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন মাশরাফি
গত এক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অসাধারণ কিছু সাফল্য এসেছে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার অন্যতম নায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাঁর নেতৃত্বেই এসেছে এই অসাধারণ সাফল্যগুলো।
তাই খেলাধুলায় অসামান্য অবদান রাখায় জাতিসংঘ শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বেছে নিয়েছে মাশরাফিকে। এরই অংশ হিসেবে এখন থেকে তিনি জাতিসংঘের হয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন কল্যাণ ও সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
মাশরাফি প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি জাতিসংঘের দূত হয়েছেন। অবশ্য এর আগে ২০০৫ সালে ইউনিসেফের দূত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও হাবিবুল বাশার। ২০১৩ সালে তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে টেবিল টেনিস তারকা জোবেরা রহমান লিনু ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচও ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হয়েছিলেন।
জাতিসংঘ তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শান্তির বার্তাবাহক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, এইচআইভি ও এইডস কর্মসূচি, পরিবেশ কার্যক্রম, ইউএনডিপি, ইউনেস্কো, ইউনোডিসি, ইউএনএফপিএ, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, ইউনিডো, ইউনিফেম, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
মূলত তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশেই এই শুভেচ্ছা দূত নিয়োগ দেওয়া হয়। খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা, শীর্ষস্থানীয় নেতা, পেশাজীবীদের এর মধ্যে সম্পৃক্ত করা হয়ে থাকে।