স্কয়ার ড্রাইভ
বাংলাদেশের আরেকটি জয়ের প্রত্যাশা
বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হলেই আমার মনে পড়ে যায় ২০০৭ সালের কথা। সেবার ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মাশরাফিদের কাছে এবারও তেমন পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা আমার। সারা দেশের মানুষের মতো আমিও তাকিয়ে আছি তাদের জয়ের দিকে। আশা করি, সাকিব-মুশফিকরা আমাদের হতাশ করবে না।
ভারতের বিপক্ষে আমাদের হারানোর কিছু নেই। একেবারে নির্ভার হয়ে খেললেই হবে। আমি তো বলব এই ম্যাচে ভারতের ওপরেই চাপ বেশি থাকবে।
বাংলাদেশের জন্য বড় সুবিধা, আট বছর আগের দলের চেয়ে বর্তমান দল অনেক বেশি ‘ম্যাচিওর্ড’। এই দলে ম্যাচ জেতানো পারফর্মারও বেশি। মাশরাফির দলের ইতিবাচক দিক, চাপ সামলে খেলতে পারা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এই দলে রয়েছে। তারা সেই জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল। মাশরাফি চার উইকেট নিয়ে ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছিল। সাকিব, তামিম আর মুশফিক ফিফটি করে দলকে এনে দিয়েছিল স্মরণীয় জয়।
এবারও তারা জ্বলে উঠলে ভারতকে হারানো অসম্ভব নয়। ব্যাট হাতে সাকিব আর তামিম তেমন ছন্দে নেই। তবে বৃহস্পতিবার তারা জ্বলে উঠলে আর মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ভারতকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য একটাই ভয়ের কথা। এই বিশ্বকাপে ভারতের পেসাররা দারুণ ফর্মে আছে। বিশেষ করে মোহাম্মদ সামি ও উমেশ যাদব খুব ভালো বল করছে।
অবশ্য মেলবোর্নের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ। যদিও এই মাঠে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল। তারপরও আমি বলব যেই জিতুক, কাজটা তেমন সহজ হবে না তাদের জন্য। ম্যাচটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেই মনে হচ্ছে।
বুধবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে আমি অবাক হয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা খুব ভালো করেছে ঠিকই, কিন্তু শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা যে এত খারাপ খেলবে তা ভাবতেই পারিনি।
শ্রীলঙ্কা আড়াইশ রান করতে পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হতো। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় প্রাপ্তি, অবশেষে বিশ্বকাপের নক-আউট ম্যাচ জিতে ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচাতে পেরেছে তারা।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।