ভালো জয়ে ভালো শুরু বাংলাদেশের
সদ্যই এশিয়া কাপের রানারআপ হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাশরাফি বাহিনী সহজ জয় পাবে, এমনটাই হয়তো আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু ডাচদের বিপক্ষে বেশ কষ্ট করেই জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে। ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে শেষ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। ৮ রানের জয় দিয়ে শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপের শুরুটা ভালোভাবেই করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সতর্কভাবেই করেছিল নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রান জমা করেছিলেন ওয়েসলি বারেসি ও স্টেফান মেবার্গ। তবে পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন আল-আমিন। ডিপ স্কয়্যার লেগে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন বারেসি (৯)। তবে এই স্বস্তিও খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ে আবার বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন মেবার্গ ও বেন কুপার। নবম ওভারের প্রথম বলে মেবার্গকে আউট করেছেন নাসির হোসেন। দ্বাদশ ওভারে বেন কুপারকেও সাজঘরমুখী করেছেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেটে ২৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশের জন্য আবার বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন অধিনায়ক পিটার বোরেন ও টম কুপার। ১৬তম ওভারে ২৯ রান করা বোরেনকে আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন সাকিব। পরের ওভারে ফন ডার মারউইকে সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। শেষ ওভারে ডাচদের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। দারুণ বোলিং করে অন্তিম ওভারে তাসকিন দিয়েছেন আট রান।
দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব ও আল-আমিন। একটি করে উইকেট গেছে নাসির ও মাশরাফির ঝুলিতে। চার ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করে ৫৮ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫ রানের। সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান; দুজনেই করেছেন ১৫ রান। ১০ রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।