এ কেমন আম্পায়ারিং!
‘ভাগ্যদেবী’ যেন শুরু থেকেই বিমুখ বাংলাদেশের ওপর। ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে শুরুতেই টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামতে হয়েছে মাশরাফি-সাকিবদের। বোলারদের নৈপুণ্যে ভারতকে ভালোই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ‘বিতর্কিত’ আম্পায়ারিংয়ে উল্টো বাংলাদেশই চাপের মধ্যে!
উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান ওঠার পর শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানের বিদায়ে ভারত পরিণত হয়েছিল তিন উইকেটে ১১৫ রানে।
৩৪তম ওভারে সুরেশ রায়নার বিপক্ষে এলবিডব্লিউ আবেদন করেন মাশরাফি। মাঠের আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। মাশরাফির বল পড়েছিল লেগসাইডের সামান্য বাইরে। ব্যবধানটা ছিল মাত্র কয়েক মিলিমিটার। ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যে বলা হয়েছে, ‘বল ব্যাটে লাগেনি। বলটা লেগসাইডের একটু বাইরে পিচ পড়েছে। বলের অর্ধেক অংশই ছিল লাইনের মধ্যে। খুবই ভালো আবেদন বাংলাদেশের। খুবই কাছাকাছি গিয়েছিল। প্রায় ৫১%।’ কিন্তু বলটা শেষপর্যন্ত স্টাম্পে লাগত কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখেননি থার্ড আম্পায়ার।
ছয় ওভার পর বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্যের উপলক্ষ বাতিল হয়ে গেছে আম্পায়ারের ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তে। ৪০তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু স্কয়ার লেগ আম্পায়ার আলিম দার ‘নো বল’ ঘোষণা করায় আউট দেননি আম্পায়ার ইয়ান গুল্ড। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, বলটা ছিল রোহিতের উরুর উচ্চতায়। যা ক্রিকেটের নিয়মে কোনোভাবেই ‘বিমার’ বলা যায় না। আর তাই ‘নো বল’ ঘোষণার সিদ্ধান্তটাও অযৌক্তিক। ব্যক্তিগত ৯০ রানে আম্পায়ারের কৃপায় ‘জীবন’ পাওয়া রোহিত শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ১৩৭ রান করে।
এমন ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আম্পায়ার (ইয়ান) গুল্ডের বাজে সিদ্ধান্ত। বল অবশ্যই কোমরের ওপরে ছিল না। রোহিতের ভাগ্য ভালো। আরো অতিরিক্ত ২০ রান নিয়ে তিনি পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।’